শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনা :::: খুলনার দাকোপ উপজেলায় সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট, সারাদিন দেখা মিলেনি সূর্যের। এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় শীতে কাঁপছে সারাদেশ। বাদ যায়নি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গরীব-দুঃখী মানুষও। আর এমন শীতের গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসমত হোসেন । এসময় নিজ হাতে ছিন্নমূল, অতিদরিদ্র মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শুক্র ও শনিবার (৩ ও ৪ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ও চুনকুড়ি নদীর তীরবর্তী (পোদ্দার গঞ্জ ফেরিঘাট ) চালনা বাজার এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দাকোপ উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষগুলো। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃআসমত হোসেন এর থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) হাতে পেয়ে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই কম্বল পেয়ে আবেগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসমত হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ এই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দাকোপ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জুবায়ের জাহাঙ্গীর, দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, দাকোপ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহকারী মোঃ আতাউর রহমান প্রমুখ।