মনোয়ার হোসেন জয়পুরহাট::: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ তনুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় দীর্ঘদিন থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক দাতা সদস্য মোজাহিদুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন, মোঃ জাহান আলী ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানীসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে যানাযায়, সরকারি বরাদ্দ তছরুপ- কাজ না করেই টাকা উত্তোলন, বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য ও এলাকার মানুষজনকে রাজাকারের বাচ্চা বলা,
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া, বিদ্যালয় ফল বাগান ও পুকুর লিজের টাকা আত্মসাত করা, বিভিন্ন শ্রেনীতে ভর্তি ফি বাবদ ১০০/-, ২০০/- ও ৫০০/- টাকা আদায় করা,অভিভাবক ও এলাকার লোকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা, বিদ্যালয়ে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করা, প্রধান শিক্ষকের ছেলের বিদ্যালয়ে মাদক সেবন ও মাস্তানিসহ বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে আটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা তনুর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দফায় দফায় বিভিন্ন সময়ে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ করলেও তদন্তে তা সব
গায়েব হয়ে যায়। সেজন্য এঘটনার পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাঁচবিবি মডেল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক দাতা সদস্য মোজাহিদুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন, মোঃ জাহান আলী, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী, শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবুল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোকলেছার ও আলতাব হোসেনসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা তনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার কিছু কুচক্রী মহলে বিভিন্ন
দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ দিয়ে আসছে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্যারেরাও তদন্তে এসে উনারা কোনো সত্যতা পাইনি। এখন সেই কুচক্রী মহলে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। আমার এসব অভিযোগ সত্য নয়। পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পেয়েছি তার প্রেক্ষিতে তখন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আজকে নতুন করে যে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নাই।