সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া:: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির ও বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানমালা পালনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। এ দিবসটি উপলক্ষে সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। এ সময় স্ব স্ব সকল সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮ টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের স্মৃতি সৌধে ও পরে দেয়াড়া শাহনেওয়াজ জুট মিল সংলগ্ন বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রঙ্গণে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলার সকল কর্মকর্তাগণ মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। মেলার স্টলগুলোতে দিঘলিয়ার বিভিন্ন শিল্প, উৎপাদিত ফসল ও সবজি, হস্তশিল্প, কারুকাজ, বিভিন্ন নবান্ন উৎসবের পিঠা, মাছ চাষের সামগ্রী শোভা পায়। দিঘলিয়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নেভানোর কলাকৌশল নিয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে উপজেলা অডিটরিয়ামে বীরমুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্মানে সংর্বধনা দেওয়া হয়। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এবং মুক্তি যোদ্ধাভিত্তিক শিশুদের চিত্রংকন প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উপজেলায় সকল মসজিদে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের শান্তি কামনা করে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। প্রীতিফুটবল এবং মহিলাদের অংশ গ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা অডিটরিয়ামে সকাল ১১ টায় দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাংশু বিশ্বাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট লে কমান্ডার কাজী আকিব আরাফাত, (এক্স) বিএন, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম। বক্তারা এ সময় বলেন মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। তাঁরা আত্নত্যাগ না করলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের এ দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময়মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা সুলতানা, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কিশোর আহমেদ, উপজেলা মৎস্য অফিসার স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী, উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা
মোনায়েম খান, উপজেলা সমবায় অফিসার খনদকার জহিরুল ইসলাম উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিপাশা দেবী তনু, উপজেলা তথ্য অফিসার সাঈদা খাতুন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়রা পারভীন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নিসা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সামসুন নাহার, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার আইচ, দিঘলিয়ার ফরমাইশখানা ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ মোঃ কাইউমুজ্জামান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টি এম শাহ আলম, উপজেলা সহকারী প্রগ্রামার পুষ্পেন্দু দাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।