দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ দিঘলিয়ায় বিগত প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার পার্শ্ববর্তী ২০ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে বিগত আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে দিঘলিয়া উপজেলায় ১০০ থেকে ১৩০ মে.টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হলো। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার পশ্চিম পাশের মাঠে প্রতি বছর আমন ও বোরো ধানের চাষ করেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষকদের উৎপাদনের কথা চিন্তা করে বিএডিসি বিভাগ এ সকল কৃষকদের সেচ প্রকল্পের আওতায় এনে সেলো মেশিন বসিয়েছে। কৃষকেরা প্রচন্ড খরা মৌসুমেও ধান চাষে পানি সংকটে পড়বেনা। কিন্তু আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া উপজেলায় ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে ২০-২৫ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে কৃষকেরা উক্ত জমিতে আমন ধানের মৌসুমে ধান রোপনে ব্যর্থ হন। যে কারণে এ সকল জমির মালিকগণ ১০০-১৫০ মে.ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এলাকায় কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর দিঘলিয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এ ২০/২৫ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য বিএডিসি ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। কেউ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে উক্ত জমির মালিকগণ বড় ধরণের ক্ষতিগ্রস্থ হলো। তবে উক্ত জমির পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হলে আগামী বছরেও একই ক্ষতির সন্মুখিন হতে পারে কৃষকেরা। ভুক্তভোগী কৃষক শাহজাহান, আছাদুজ্জামান, রাসেল, ইশা ও মুরাদ এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের জমিতে বর্ষা মৌসুমে পানি হলেও পূর্ব দিকের ড্রেন ও দক্ষিণ দিকের ড্রেন দিয়ে পানি বের হয়ে যেত। বর্তমানে বালি ভরাটের কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেন নি। বিএ ডিসির কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কাজ হয়নি। স্থানীয় কৃষি দপ্তরের দৌড় ঝাপ চালালেও কোনো সুরাহা হয়নি।
ফলে আমরা আমন মৌসুমে যে ক্ষতির সন্মুখিন হলাম তার খেসারত দেবে কে? এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কিশোর আহমেদ এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তর ও বিএডিসি বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অবগত করেও পানি সরানোর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছি। উক্ত জমির পানি সরার জন্য ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে যে ড্রেন ছিল। জমিতে বালু ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখনও জমিতে পানি জমা হয়ে আছে। এ জমিতে ধানের চাষ ঠিক রাখতে হলে এ জমির পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।