খুবির সিএসই ডিসিপ্লিনে দু’দিনব্যাপী জাতীয় সিম্পোজিয়াম উদ্বোধন

IMG_20241109_180210.jpg

Oplus_131072

সাগর কুমার বাড়ই খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশন ফর আইসিটি-এনাবলড্ বাংলাদেশ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী জাতীয় সিম্পোজিয়াম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে এ সিম্পোজিয়াম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষক তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রির দায় অনেক বেশি। সেজন্য সেসব দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অর্থায়ন করে ভালো ভালো গবেষককে বের করে আনে ইন্ডাস্ট্রিগুলো। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশন এখনও সেভাবে ডেভেলপ করেনি। যার কারণে গবেষক তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রির দায় অদৃশ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষক তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কি কি করণীয় আছে, দায় কি, সুবিধা কি ইত্যাদি বিষয়গুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জানানো দরকার।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরাও উদ্ভাবনী মানসিকতার অধিকারী। তাদের গবেষণার মাধ্যমে নতুনত্ব উদ্ভাবন করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার কোলাবরেশন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তিনি এ সিম্পোজিয়ামে আগত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশিদ খান। তিনি বলেন, বিশ্বে যতটুকু উন্নতি ও মানবসভ্যতার বিকাশ হয়েছে- তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের মাধ্যমে। সমাজের অগ্রগতি ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে কম্পিউটার বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি আরও বলেন, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য গবেষণালব্ধ ফলাফল সেমিনার/
সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে তুলে ধরা। যাতে গবেষকরা এই তথ্য-উপাত্ত পরবর্তী গবেষণায় কাজে লাগানোর পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি গবেষণাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনে গুরুত্বারোপ করেন।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিম্পোজিয়াম আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাধিকা চৌধুরী ও সাকিব মাহমুদ শোভন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় সিম্পোজিয়াম উপলক্ষ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক
প্রদক্ষিণ করে। পরে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে সিম্পোজিয়াম উদ্বোধন করা হয়। দু’দিনব্যাপী এ সিম্পোজিয়ামে আজ ‘সিম্পোজিয়াম টক’ ও ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ শীর্ষক দুটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ‘সিম্পোজিয়াম টক’ পর্বে দেশের স্বনামধন্য ৮টি প্রতিষ্ঠানের ৮ জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তাদের জ্ঞানগর্ভমূলক অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ পর্বে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫০টির অধিক আইডিয়া ও গবেষণা পোস্টার প্রেজেন্টেশন করবেন। এ ছাড়া আগামীকাল ‘প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’ পর্বে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪৭টির টিম অংশগ্রহণ করবে। একই সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘ডেটাথন’ ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে আগামীকাল ১৬টি টিম তাদের এলগোরিদম উপস্থাপন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top