দিঘলিয়ায় ঠাকুরবাড়ি জমি সংক্রান্ত বিরোধ সংবাদ সংগ্রহের কারণে সাংবাদিকদের উপরে চড়াও

IMG_20241105_180646.jpg

Oplus_131072

দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের ঠাকুর বাড়ি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় একই এলাকার বাসুদেব ঘোষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়ার ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত ঠাকুর কালিপদ চক্রবর্তী ও তার পুত্র দেব প্রসাদ চক্রবর্তীর সাথে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা বিদ্যুৎ কুমার, বাসুদেব ও দেবপ্রসাদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। যে জমি নিয়ে ইতোমধ্যে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বাসুদেব ঘোষ নিজের ক্ষমতার জোরে উক্ত মামলার জমির উপরে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে কিছু গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাসু দেব ঘোষ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়।

 

এ বিষয়ে বাসুদেব ঘোষের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। বাসুদেব ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেখানে নতুন একটি মন্দির নির্মাণ হচ্ছে উক্ত জমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে মন্দিরটি সার্বজনীন কিনা তিনি তখন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং সার্বজনীন মন্দির হিসাবে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে তৎকালীন সময় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ আনে। তবে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, উক্ত মন্দিরটি সার্বজনীন নয় বরং ড. বাসুদেব ঘোষের ব্যক্তিগত মন্দির। এমনকি বাসুদেব ঘোষ নিজেই উক্ত মন্দিরের সভাপতি এবং তার নিকটতম ব্যক্তি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক, দেবপ্রসাদ ও বাসুদেব ঘোষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ১৭ শতক জমি নিয়ে এই বিরত চলে আসছে কিন্তু বাসুদেব ঘোষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে মন্দিরের জমি দখল, মন্দির দখল, এমন কিছু সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এমনকি বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে ভুয়া তথ্য প্রদান করেন বলেও জানা যায়। উক্ত জমিজমা সংক্রান্ত এই বিরোধের বিষয়ে দেব প্রসাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি

 

জানান, ২০২১ সাল থেকে ড.বাসুদেব ঘোষের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে জমির কাগজপত্র দেখে জানা যায়, বাসুদেবের বাড়ির জমির দাগ নং ৮৪৩, জমির পরিমাণ ১২ শতাংশ এবং যেখানে মন্দির নির্মাণ হচ্ছে উক্ত জমির দাগ নং ৮৪৭ এবং জমির পরিমাণ ১৩ শতাংশ। মামলা চলমান সুশীল ঘোষের জমি, যার দাগ নং ৮৪৮ ও জমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ। তবে সি এস এ দেখা যায় উক্ত জমির মধ্যে সুশীলের পিতার অংশ সাড়ে ৮ শতক এবং কুমোদ চক্রবর্তীর সাড়ে ৮ শতক কুমোদ তার ভাগের সাড়ে আট শতাংশ জমি কালিপদ চক্রবর্তীর স্ত্রী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তীকে দিয়ে যান। কিন্তু উক্ত জমি ১৭ শতকসহ জালিয়াতি করে মুসলমানদের সঙ্গে বিনিময় করেন সুশীল ঘোষের পিতা। কিন্তু উক্ত জমি পুনরায় আবারো মুসলমানদের কাছ থেকে ক্রয় করেন কালিপদ চক্রবর্তী এবং অন্নপূর্ণা নামে করে দেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত জমি এবং মন্দির সব মিলিয়ে তিনটি দাগ রয়েছে।

 

কিন্তু ড.বাসুদেব ঘোষ তার প্রতিবেশী দেবপ্রসাদ চক্রবর্তীর নামে ভুয়া তথ্য প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে দেবপ্রসাদ তার মন্দিরের জমি দখল করতে চেয়েছে যা সরেজমিনে গিয়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং পাল্টা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে দেব প্রসাদকে হেয় প্রতিপন্ন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ড.বাসু দেব ঘোষের নামে উক্ত জমির গাছ কেটে নেওয়ায় থানায় অভিযোগ রয়েছে। উক্ত জমি নিয়ে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও ড.বাসু দেব ঘোষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে উক্ত জমিতে মন্দিরের ভবন নির্মাণ করে আসছে। ড.বাসুদেব ঘোষের এমন একাধিক কার্যকলাপের জন্য তাকে ১ নং আসামি করে মোট ৮ জনের নামে একটি মামলা ও ছিল। এবং একাধিক কাগজ পত্র দেখে জানা যায় ড.বাসুদেব ঘোষের সীমাহীন অপকর্মের অজানা কাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top