সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে:::::: আওয়ামী লীগের আনুকূল্য লাভে গোটা ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের জমানো লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা ফিরোজ হোসেন। দিঘলিয়া ইউনিনের হতদরিদ্র ভুক্তভোগী মহল সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ হোসেন। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রাম নিবাসী পুত্র। আওয়ামী লীগের আনুকূল্য লাভে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ঠ হয়ে ২০১৫ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সুবাধে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত হন। এক বছরের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের আশীর্বাদে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা বনে যান। এক সময় খুলনার প্রভাবশালী শেখ পরিবারের আনুকূল্য লাভে হয়ে ওঠেন দিঘলিয়ার অপ্রতিরোধ্য চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা। আর এ প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে করে তোলেন নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির কেন্দ্র। তিনি ইউনিয়নব্যাপী গড়ে তোলেন নিজ আদলে এক দুর্গবাহিনী। যাদের দেওয়া তালিকা মোতাবেক ইউনিয়নব্যাপী তৈরি হতো ভিজিডি, বয়ষ্কভাতা, বিধবাভাতা, করোনাকালীন মানবিক
সাহায্য সব কিছুতে দলীয় ও আত্তীকরণ। পাশাপাশি চলে আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থ বাণিজ্য। জায়গা আছে ঘর নেই, জায়গা নেই ঘর নেই এ সকল প্রকল্পে চলে গোপনে অর্থ বাণিজ্য। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দিঘলিয়া উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাদে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদটি গড়ে তুলেছিলেন তার ব্যক্তিগত লোকদের আখড়ায়। খুলনা জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দ ও উপজেলা ত্রাণ বিভাগের বরাদ্দে নানা অনিয়ম ও চরম দুর্নীতি হয়েছে। যা তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়ার সাধারণ মানুষ। এদিকে দিঘলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার ভিজিডি সুবিধাভোগীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দিয়ে ব্যক্তিগত মাইক্রো ক্রেডিট কর্মসূচীর আওতায় এনে জোর পূর্বক সঞ্চয় স্কীমের অন্তর্ভুক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের মুখে মুখে। প্রতি সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৪-১০ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে দলপতিদের লোন দিয়ে তাদেরকে আউট করে দিয়ে দিঘলিয়া সোনালী ভবিষ্যৎ নামে ব্যক্তিগত মাইক্রো ক্রেডিট সমিতি হিসেবে চালু রেখে আছেন বহাল তবিয়তে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে এর সকল সত্যতা। এদিকে এ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
তাঁর নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, নানা দুর্ণীতির কারণে ২০২০ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়া সত্বেও নির্বাচনে ভোটের ময়দানে ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে ৩ প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় অবস্থান অধিকার করেন বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্ণীতির কারণে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণে জবাবদিহিতার পরিবর্তে তাঁকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। তার ইউনিয়ন পরিষদের নানা কর্মকান্ডে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির তদন্ত না করে ভৈরব নদীর নগরঘাট ফেরীঘাটের ইজারা পাইয়ে সারা বছরে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার খুঁটির জোর এতই শক্তিশালী যে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া, দিঘলিয়া আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও মাসিক সমন্ময় সভায় ও খুলনা সওজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েও তার অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারতা ও দুর্ণীতির অবস্থান থেকে একটুও নড়েচড়ে বসাতে
পারেনি দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে। সৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর সাথে হাত মিলিয়ে তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় জড়িয়ে জঙ্গী বানিয়ে জেলে আটকানো ও বিএনপির কর্মীদের পথের বাজারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতে হামলা, কেন্দ্রীয় নেতার গাড়ি বহরে হামলাসহ নানা ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ও বিএনপি নেতার দায়েরকৃত মামলার আসামী হওয়ার পরও গ্রেফতার এড়িয়ে আছেন বহাল তবিয়তে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী আওয়ামী লীগের এই সৈরাচারী নেতা মোল্যা ফিরোজ হোসেনসহ তার মত নেতার পৃষ্ঠপোষকদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সকল সংস্থার কাছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সকল মহলের।