সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::::: মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব উদযাপন শেষে আজ সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনে যোগ দেয় সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে মন্দিরগুলো থেকে উপজেলার ভৈরব ও আতাই নদীর উদ্দেশ্যে প্রতিমা বিসর্জনে বের হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এ প্রার্থনা করেন তারা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি যেমন কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী দুর্গা যে ক’দিন পিতৃগৃহে ছিলেন,
ঢোলের বাদ্য সে কদিন ভক্তদের মনে ভক্তি আর আনন্দ মূর্ছনা দুই-ই জাগিয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো এবার। দেবী দুর্গার অপেক্ষায় আবারো একটি বছর অপেক্ষায় থাকবো। দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, এবারের পূজা উদযাপনের মাধ্যমে সব অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটবে। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সৌমিত্র কুমার দত্ত এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, র ্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, আনসার ও ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাশাপাশি পূজামন্ডবগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে নিরলসভাবে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করেছে দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের এক ঝাক সদস্য ও পূজামন্ডব ভিত্তিক গড়ে ওটা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকগণ। এবারের এ দূর্গাৎসবকে সামনে নিয়ে সর্বমহল ছিলেন শৃঙ্খলার ব্যাপারে সদা জাগ্রত। দেশ গঠনেও আমরা যদি এভাবে মিলেমিশে যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করি তবে আমরাই পারব আগামী প্রজন্মকে একটা সুখি সুন্দর ও সম্প্রীতির একটা সোনার বাংলাদেশ উপহার দিতে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সকলে।