খুলনায় সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল

IMG_20241012_195801.jpg

Oplus_131072

সাগর কুমার বাড়ই খুলনাঃ  বাংলাদেশ ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও  খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন,  নবী (সা.) এর জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁর দয়া, ক্ষমা, ও সহিষ্ণুতা আমাদের জীবনে অনুসরণ করতে হবে। এসব ভালো গুণাবলী আমাদের মধ্যে থাকা উচিত।” তিন বলেন, “নবী করীম (সা.) ছিলেন আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও অবিচল আস্থার অধিকারী। তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালন করেছেন এবং সকল কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।” তিনি বলেন, বলেন, আজকের যুগে, আমরা যদি নবী (সা.) এর আদর্শ মেনে চলি, তাহলে আমরা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে পারব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও আইবিডব্লিউএফ খুলনা মহানগরী ও বড় বাজার অঞ্চলের উদ্যোগে নগরীর কদম তলা মোড়স্থ ফারাজী ইনস্টিটিউটে সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ব্যবসায়ীক নেতা মো. সালাউদ্দীন খান এর সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা মাওলানা মেহেদী হাসান কাওছারীর  পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও ওলামা বিভাগীয় সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভপতি  মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী। বক্তব্য দেন খুলনা মহানগরী সভাপতি খান মো. মোশারফ হোসেন,  সহ- সভাপতি হুমায়ুন কবির, খুলনা সদর থানা আমীর মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা আল হাফিজ সোহাগ

 

, আসিফ ইকবাল মাসুম, মুরাদ সোহাগ, শহিদুল ইসলাম, আলী হায়দার, শাহজাহান, মাসুম, কাউসার, মিজানুর রহমান, বুলবুল, শামীম, ইয়াসিন, মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, কামরুল ইসলাম, পরিবহন নেতা আব্দুল বারেক, আসলাম শিকদার, কামরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতা মইনুল ইসলাম, মাসুদ রানা, সাদ্দাম হোসেন, মো. আব্দুল হক, একলাসুর রহমান, মোল্লা আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন, বেলায়েত হোসেন, সমীর, আশিকুজ্জামান টিপু, রবিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইসমাইল প্রমুখ।  প্রধান অতিথি আরও বলেন, নবীজি (সা.) সকল মানুষের সাথে সদাচরণ করতেন। তিনি ছিলেন দয়ালু,

 

ক্ষমাশীল এবং সহানুভূতিশীল। তিনি সকলের সাথে ন্যায়বিচার করতেন এবং কারো প্রতি অবিচার করতেন না। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) সর্বদা জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, “জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।” তিনি আরও বলেন, নবী করীম (সা.) এর জীবন আমাদের জন্য আদর্শ। আমরা যদি তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করি, তাহলে আমরা এই পৃথিবীতে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবো এবং পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top