কে এই সজীব বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে কে তার পৃষ্ঠপোষক?

সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ দিঘলিয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের মাঠে এক পরিচিত নাম মোঃ সাজিবুল হাসান খান সজীব। উন্নয়ন কাজের ইট, বালু, শুড়কিসহ পাথরের খোয়া সরবরাহকারী থেকে অপেশাদারী ঠিকাদার। দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডবাসী মোঃ আফসার উদ্দিন খানের পুত্র এই মোঃ সাজিবুল হাসান খান সজীব। দিঘলিয়া উপজেলার সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজের ইট, বালুর সাপ্লায়ার থেকে তিনি জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধির হাত ধরে চলে এলেন ঠিকাদারী কাজে। আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি এডিবির কাজ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রকল্পের কাজ এবং সর্বপরি এলজিইডি খুলনার গৃহীত প্রকল্পের কাজ। কোনোটায় যেন তার কোনো বিমুখীভাব নেই। আর তার এ পেশাদারী ঠিকাদারের জগতে অপেশাদারিত্বের ঠিকাদারি

ও নিম্নমানের কাজ করা, জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি যেন তার পিছন থেকে পর্দার আড়ালে থাকা পৃষ্ঠপোষকতা কাজ করছে। তার এই উন্নয়ন কাজের জগতে অপেশাদারিত্ব এবং ডোন্ট কেয়ার নিতিতে পথ চলা দেখে বিজ্ঞমহলের জিজ্ঞাসা কে এই সজীব? কে তার পর্দার আড়ালে থাকা পৃষ্ঠপোষক? খুলনা এলজিইডির অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পের কাজ পান মেসার্স রুম্মান ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম নিবাসী মৃত মহিউদ্দিন মোল্যার পুত্র মকবুল হোসেন মোল্যা। কাজের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি, ৪৮ লাখ, ৩৩ হাজার, ৮৭৮ টাকা। গত ৬/১০/২০২৪ ইং ৫% নিম্ন দরে এলটিএম পদ্ধতিতে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলাধীন এ কাজটি প্রাপ্ত হন। কাজটির চুক্তি মূল্য ছিল ১ কোটি, ৪০ লাখ ৯২ হাজার ১৮৪ টাকা ১০ পয়সা।

কাজটির ( ই-আইডি নং ৭২৪৯৩২)। উক্ত কাজের জিওবিএম বিল গত ইং ০২/০৯/২০২৪ ইং তারিখে চেক নম্বর (৯৬৭০০১৭), ১৭ লাখ ১৮ হাজার, ৮৬০ টাকা খুলনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে মেসার্স রুম্মান ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী মকবুল হোসেন গ্রহণ করে মেসার্স সজীব ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ সাজিবুল হাসান খানের নিকট উক্ত কাজের অনুকূলে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড খুলনা শাখা, মেসার্স রুম্মান ট্রেডার্স, হিসাব নং-০০০৬১১১০১০২৭৬-তে জমা দেওয়ার জন্য প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত চেকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের মেসার্স রুম্মান ট্রেডার্সের লাইসেন্সে উল্লেখিত ব্যাংকের নাম ও একাউন্ট নম্বর উল্লেখের নিয়ম থাকলেও তা উপেক্ষিত ছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উক্ত সজীব প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করেছেন। তিনি চেকটি নির্ধারিত ব্যাংকে জমা না দিয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের

প্যাডে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে ভুয়া মালিক সেজে পূবালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে একাউন্ট খুলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চেকটি ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্নসাৎ করে প্রকৃত লাইসেন্সধারী থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। টাকা না দিয়ে মালিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি ধামকি প্রদান করছে। এদিকে উক্ত মোঃ সাজিবুল হাসান খান সজীব দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফরমাইশখানা ও বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রামের ২ টা রাস্তার সমন্ময়ে এলজিইডির গ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি খুলনা কেবিএস প্রকল্পের আওতায় ১কোটি ২৮ লাখ টাকায় ওয়ার্ক অর্ডার পাই খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার আইসগাতী গ্রামের মোঃ সিফাত এন্টারপ্রাইজ

এর স্বত্ত্বাধিকারী আমীর হোসেন। উক্ত কাজেরও সাব কন্ট্রাক্টর উক্ত সজীব। কখনও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীমহল আবার কখনও ভীন্ন মেরুর প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে নয়/ছয়ে কাজ করে চলেছেন। এখানেও কাজের ঢিলা গতি আবার নিম্নমালের ইট-খোয়া ব্যবহার। কোনো বাধায় তার কাজের গতি থামাতে পারেনি। মোঃ সাজিবুল হাসান খান সজীবের সরকারি উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির চালিকাশক্তি কে বা কারা এটা জানার ইচ্ছা আজ সর্বমহলের। ইতোমধ্যে তার এ কাজের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার পরও সাব কন্ট্রাক্টর বা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ এতটুকু নড়েচড়ে বসেনি এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার বিজ্ঞমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top