নন্দীগ্রামে মরিচের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক, স্বপ্নময় হাঁসি চোখে-মুখে

InShot_20241001_170823163.jpg

 আব্দুর রউফ উজ্জল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) ::::  কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়েও খুশি কৃষক। বর্তমান বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে মরিচ। ছাড়িয়ে গেছে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা। নন্দীগ্রামে এবার পৌরসভাসহ ৫ টি ইউনিয়নে ২৯৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন। নন্দীগ্রামের চাষিরা ধীরে ধীরে ধান চাষাবাদের পাশাপাশি মরিচ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সরেজমিন গিয়ে কয়েকজন মরিচ চাষির সাথে কথা হয়। উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের মরিচ চাষী আশরাফ আলী জানান, মরিচের

 

বাজার যদি এভাবে থাকে তাহলে তার ১ বিঘা জমিতে মরিচ বিক্রয় হবে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। এতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন মাত্র ২৫/৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও একই গ্রামের সামছুর রহমান, মন্টু মিয়া, শফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকেই মরিচ চাষ করেছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মরিচের চাষাবাদ ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। অপরদিকে ২ নং নন্দীগ্রাম (সদর) ইউনিয়নের কদমা গ্রামের রজব আলীসহ অত্র এলাকার অনেক কৃষক মরিচ চাষ করেছেন। আবার অনেক কৃষক তাদের বসত-বাড়ীর ভিটায়ও মরিচ চাষ করেছেন। তাই নন্দীগ্রামে ফিরতে শুরু করেছে মরিচের সোনালি দিন। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজীউল হক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের

 

তৎপরতায় হারানো মরিচ চাষ আবার ফিরে এসেছে। উপজেলার মরিচ ক্ষেতগুলোতে যেন কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সাধারণত মরিচ গাছে যে ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে যেমন-পাতা কুঁকড়িয়ে আসা, গোড়াপঁচা, ফলপঁচা, ঢলেপড়া ইত্যাদি রোগ থেকে মরিচ গাছগুলোকে রক্ষার জন্য আমিসহ আমার উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top