সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে ::::: খুলনার দিঘলিয়ায় এবছর ৬১ টি মন্ডপে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারুশিল্পীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এবার ৯ অক্টোবর (বুধবার) থেকে শুরু হবে, আর শেষ হবে ১২ই অক্টোবর (শনিবার)। উৎসব চলবে ৪দিন ধরে। এবছর নবমী ও বিজয়া দশমী পুজা একই দিনে পড়েছে। তবে অনুষ্ঠান ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আর এই উৎসবকে ঘিরে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় খুলনার দিঘলিয়াতেও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। সেই সঙ্গে প্রতিবারের ন্যায় প্রতিটি পূজা মন্ডপের সামনে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সাজে নির্মাণ করা
হচ্ছে এক একটি সৌন্দর্য বর্ধন গেট। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৬১টি স্থানে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো জুঙ্গশিয়া মধ্যপাড়া, জুঙ্গশিয়া পূর্বপাড়া, জুঙ্গশিয়া পশ্চিমপাড়া, গাজীরহাট বাজার, ডোমরা বটতলা, ডোমরা রাজবংশী পাড়া, সোনাকুড় গোবিন্দ আশ্রম, সোনাকুড় মৎসজীবি উত্তরপাড়া, সোনাকুড় দক্ষিণপাড়া মৎসজীবি শীতলা, গাজীরহাট মহাশ্মশান, সোনাকুড় পালবাড়ি, সোনাকুড় মধ্যপাড়া, সোনাকুড় মালোপাড়া, ডোমরা সরদার বাড়ী, আবালগাতী মহাশ্মশান, আমবাড়িয়া, মাঝিরগাতী রাজবংশীপাড়া, মাঝিরগাতী হাইস্কুল সংলগ্ন মন্দির, কৈবর্ত্যগাতী, কেটলা বিশ্বাস বাড়ী, কেটলা জ্যোৎস্নাময়ী, কেটলা ব্রজধাম, উত্তর কেটলা বটতলা, কেটলা হাজরা তলা শীতলা মন্দীর, বাগমারা হরি মন্দীর, পারমচন্দপুর মধ্যপাড়া মনসা মন্দীর, পারমচন্দপুর পশ্চিমপাড়া শীতলা মন্দীর, কামারগাতী পশ্চিমপাড়া, কামারগাতী পূর্বপাড়া,
বারাকপুর ঋষিপাড়া, বারাকপুর কালীবাড়ী, বারাকপুর বারইপাড়া, নন্দনপ্রতাপ পশ্চিমপাড়া, নন্দনপ্রতাপ পূর্বপাড়া খালের পাড়, নন্দনপ্রতাপ দক্ষিণ পাড়া, বোয়ালিয়ার চর পশ্চমপাড়া , লক্ষ্মীকাঠি, আড়ুয়া বাছাড় বাড়ি, আড়ুয়া পূজা মন্দীর, আমবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া, আমবাড়িয়া পূর্বপাড়া, রাধামাধবপুর উত্তরপাড়া, রাধামাধবপুর দক্ষিণ পাড়া মন্দির, দিঘলিয়া দক্ষিনেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দির, দিঘলিয়া ঘোষপাড়া, গোয়ালপাড়া, গোয়ালপাড়া রাধাগোবিন্দ পূজা মন্দির, পানিগাতী সনাতন মন্দির, পানিগাতী সার্বজনীন পূজা মন্দীর, হাজীগ্রাম রাজবংশী পাড়া পূজা মন্দীর, একতা যুব সংঘ সুধীর দত্তের বাড়ি, চন্দনীমহল বকুলতলা পূজা মন্দীর, দক্ষিণ চন্দনীমহল শীতলা বাড়ি মন্দীর, সেনহাটি বারইপাড়া পূজা মন্দীর, সেনহাটি শিববাড়ী পূজা মন্দির, সেনহাটি কুন্ডুপাড়া, সেনহাটি ঋষিপাড়া নবারুন তরুণ সংঘ, আড়ংঘাটা কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির, আড়ংঘাটা কাপালীপাড়া ও তেলিগাতী নেপাল
আশ্রম পূজা মন্দির। ৬১টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে এবারের দূর্গা পূজা। উপজেলা প্রশাসন যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেষ্ট রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং বেশীরভাগ শেষের দিকে। এখন শুধু রং করা বাঁকি আছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ দিঘলিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু সৌমিত্র কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পুজা উপলক্ষে সব হিন্দুধর্মীয় নারী-পুরুষরা এবার ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করবে বলে মনে করেন তাঁরা।