নিজস্ব প্রতিবেদক: জালাল উদ্দিনঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়াইল এলাকা থেকে মধ্যরাতে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মোঃ মুজিবুর রহমান (৪৮) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লাতু বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১৫ হাজার ২৫০ ভারতীয় রুপিসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে বিজিবি লাতু বিওপি’র কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোঃ আছমাত উল্লাহ ঠাকুর বলেন, আটক ভারতীয় নাগরিককে থানায় সোপর্দ করে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা করেছেন। বিকেলে থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে
কারাগারে পাঠিয়েছে। মোঃ মুজিবুর রহমান ভারতের আসাম রাজ্যের নয়াগাঁ জেলার ডাবুক হোজাই থানার চাংমাঝিগাঁ গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
জানা যায়, বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের লাতু বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোঃ আছমাত উল্লাহ ঠাকুরের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য মঙ্গলবার রাতে বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৬৫ হতে আনুমানিক ৩১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বড়াইল এলাকায় বিজিবি সদস্যরা একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করলে দুই আরোহীর একজন ভারতীয় নাগরিক মুজিবুর রহমানকে মোটরসাইকেলসহ আটক করেন। অপর আরোহী বাংলাদেশি নাগরিক বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন
কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আটক ভারতীয় নাগরিকের দেহ তল্লাশি করে ১৫ হাজার ২৫০ ভারতীয় রুপি, একটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লাতু বিজিবি সদস্যরা। বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ভারতীয় নাগরিকে আটক করে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লাতু বিজিবি।
ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদি হাসান বলেন, বড়লেখা, বিয়ানীবাজার ও জুড়ী সীমান্ত দিয়ে সবধরণের চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের কড়া নজরদারি রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।