দিঘলিয়ায় জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত খেয়াঘাট জবর দখলের অভিযোগ

InShot_20240904_195002972.jpg

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে :::::  দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজার খেয়াঘাটটির ঠিকাদারকে উচ্ছেদ করে ঘাটটির জবর দখল নিয়ে টোল আদায় ও নৌকাভাড়া আদায় করা শুরু করেছে জিয়া শেখের লোকেরা। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা পরিষদের ঘাট ঠিকাদার জাকারিয়া খান রানা দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট দোখলদারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী ও বারাকপুর সন্যাসী খেয়াঘাটটির খুলনা জেলা পরিষদ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য সরকারের যাবতীয় ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে ইজারা গ্রহণ করেন মোঃ জাকারিয়া খান রানা। ঘাটটির ইজারা গ্রহণ করার পর যথা নিয়মে দিঘলিয়া পারে বসে ঠিকাদারের লোকজন টোল আদায়

 

করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে খুলনা শহর পারের কতিপয় ব্যক্তি উক্ত ঘাটের জবর দখল করে নেয়। খবর পেয়ে দিঘলিয়ায় টহলরত সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে নিবৃত করে এবং ঘাটের ইজারাদারই ঘাটের টোল আদায় করবে বলে জানিয়ে দিয়ে আসেন। এর পর থেকে খেয়াঘাটটি শৃঙ্খলভাবে চলে আসছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে উক্ত জেলা পরিষদের ইজারাদার মোঃ জাকারিয়া খান রানার লোকদের ঘাট থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে দেয় এবং জিয়ার লোকজন শহরের পারে বসে জোর পূর্বক অবৈধভাবে টোল আদায় শুরু করে। এ ব্যাপারে ঘাটের বৈধ ইজারাদার মোঃ জাকারিয়া খান রানা তাদের নিকট জানতে গেলে তাকে গালাগালি ও লাঞ্চিত করে

 

বলে এলাকাবসী সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে ঘাটের ইজারাদার মোঃ জাকারিয়া খান রানা জেলা পরিষদ থেকে ইজারা গ্রহণ করা ঘাটটি ফিরিয়ে পেতে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি তার বৈধ ইজারা গৃহীত খেয়াঘাটটি ফিরিয়ে পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উক্ত খেয়াঘাটের পূর্ব ইজারাদার বারাকপুর নিবাসী গাজী নাসির উদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর থেকে খেয়াঘাটটি কয়েকবার কয়েকজনে এসে জবর দখল করে টোল ও নৌকা ভাড়া আদায় করতে লোকজন দেখেছে বলে শুনেছি। বারাকপুর নিবাসী মোঃ ফেরদৌস এ প্রতিবেদককে জানান, গত ৭ আগষ্ট ঘাটটির ইজারাদারকে

 

জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে দিয়ে ওপারের কিছু লোক ঘাটটির জবর দখল নিয়ে টোল আদায় শুরু করেছিল। খবর পেয়ে সেনা বাহিনীর টহল টিমের সদস্যগণ ঘটনাস্থলে এসে গণ্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে ইজারাদারকে ঘাটের টোল আদায়ের অনুমতি দিয়ে যান। কিন্তু গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ইজারাদারের লোকজনকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে দিয়ে জিয়াগং ঘাট জবর দখল করে নেন এবং ঘাটটির খুলনা শহর পারে বসে টোলসহ নৌকা খাজনা তোলা শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top