খুলনা দিঘলিয়ায় সরকারের পতনের সুযোগে  দুর্বৃত্তের হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজী ও ভাঙ্গচুর

IMG_20240829_104142.jpg

Oplus_131072

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::::: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া ও সেনহাটি ইউনিয়নের শতাধিক মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাটসহ নানা সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, লুটপাট, ভঙ্গচুর ও লুটপাট চালিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি চলেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ লুণ্ঠন ও নিরব চাঁদাবাজী। পাশাপাশি চলেছে পুলিশের কর্মবিরতি। এলাকাবাসী ও শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট সৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর থেকে দিঘলিয়া উপজেলার উল্লেখিত ৪ টি ইউনিয়নে জনতার বিজয়ের সুযোগ নিয়ে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে লোকজনের বসতবাড়ি ও দোকানপাটসহ নানা স্থাপনায় হামলা, লুটপাট,

 

ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। পাশাপাশি চলেছে নিরব চাঁদাবাজী এবং পুকুর ও ঘেরের মাছ লুণ্ঠন। পক্ষান্তরে চলেছে পুলিশের কর্মবিরতি। এ সময় ফাঁড়িগুলো ছিল গ্রাম পুলিশের পাহারায়। দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে নানা সরকারি ও বেসরকারি অফিস ও স্থাপনাও বাদ পড়েনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর থেকে ২/৩ দিন এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলে এ তান্ডব। এ সময় দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা, মহিলাদের স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুণ্ঠন করতে ভুল করেনি। সর্বস্ব হারিয়েও অনেক নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় লোকজন আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সাহায্য নিতে পারেনি। কিংকর্তব্য বিমুড় হয়ে ঘরবাড়ি, স্ত্রী, পরিবার পরিজন ফেলে নিরুদ্দেশ জীবন কাটিয়েছে। সূত্র থেকে জানা যায়, লাখ লাখ টাকার সরকারি রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সেনাবাহিনীর সদস্যদের অতন্ত্র টহলে যৎসামান্য গাছের লককাঠ

 

উদ্ধার হলেও সেগুলো অরক্ষিত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সন্ধিক্ষণে গাজীরহাট বাজারে চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গোলাগুলি করলেও তারা এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আসেনি। এ সশস্ত্র সন্ত্রাসীচক্র গাজীরহাট ও নড়াইলের হামিদপুর ইউনিয়নে বসবাস করে বলে জানা গেছে। এদিকে দিঘলিয়ায় অব্যাহত, হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজী, ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ, জমিদখল যদি রাজনৈতিক প্রতিশোধের কালচার হয় তবে সেগুলো বাদই দিলাম ব্যক্তি আক্রোশ প্রতিহিংসার বসবর্তী হয়ে হাজার হাজার ছাত্র জনতার এই আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নব স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে যারা সাধারণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অশান্তির কারণ বানিয়েছে। সমাজের মাঝে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা বিজ্ঞ ও সুশীল সমাজের আকুতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top