দিঘলিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান হত্যা মামলার সশস্ত্র সন্ত্রাসী আসামীদের ফাঁকা গুলি

IMG_20240823_171150.jpg

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে ::::: দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে গোলাগুলি ও ভাঙ্গচুর ঘটিয়ে বিজয় উল্লাস করেছে চেয়ারম্যান নাহিদ হত্যা মামলার চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী আসামীরা। যারা প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাস করেছে তারা ছিল কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের ভাড়াটে সন্ত্রাসী। তার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথের কাটা পরিষ্কার করতে এ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করা হয়েছিল। নাহিদ ছিল বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত পরিবারের সন্তান। শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখার জন্য দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আসায় নাহিদ মোল্যা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী রাজনীতিতে যোগদান করেন। কিন্তু স্থানীয় এমপির বিরোধিতার কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নড়াইলের হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

হামিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ছিলেন আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি। কিন্তু নির্বাচনে মোঃ নাহিদ মোল্যার নিকট আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ পরাজিত হয়। মোল্যা নাহিদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ পরাজয় মনের থেকে মেনে নিতে পারেন নি। তাইতো গোলাম মোহাম্মদ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাড়া করে হামিদপুরের এই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নাহিদ মোল্যাকে তার নিজ বাড়ির দোতলায় শয়ন কক্ষে জানালা দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে মরহুম জননন্দিত চেয়ারম্যান নাহিদের স্ত্রী পলি বেগম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও পলি বেগম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত

 

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী এখনও মামলার ঘানি টানছে। আত্নগোপনে থাকছে। গোটা এলাকায় পুলিশের কর্মবিরতি এ সকল চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও মোল্যা নাহিদের খুনীদের উৎসাহ যুগিয়েছে দিন বদলের স্বপ্ন। তাই এই সন্ত্রাসীদল সশস্ত্র অবস্থায় লোকজন নিয়ে গত ৭ আগষ্ট বুধবার গাজীরহাট বাজারে ঢুকে ফাঁকা গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। কাদের ইন্দনে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খুনিরা জনপদে এসে ত্রাস সৃষ্টি করল এবং ভাঙ্গচুর করল গাজীরহাট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মোল্যা নাহিদের চাচা মোল্যা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডার অস্থায়ী কার্যালয় তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে বিজ্ঞমহলের অভিমত।  উল্লেখ্য উক্ত গাজীরহাট বাজারের পাশেই বসবাস করেন হামিদপুর ইউনিয়নের মরহুম চেয়ারম্যান নাহিদের স্ত্রী ও মামলার বাদী বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top