সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী মেট্রো থানা এলাকায় অবস্থিত এ্যাযাক্স জুট মিলটি খুলনার সাংসদ বেগম মন্নুজান সুফিয়ানগংদের কাছ থেকে বেদখল মুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিলের মালিকানা সূত্রে জানা যায়, উক্ত মিলটি ২০১৫ সালে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশে তার ভাই শাহাবুদ্দীন ও তার স্ত্রী এবং দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকন অবৈধভাবে মিলটি দখল করে নেন। সেই সময় থেকে উক্ত মহল মিলটির পাট ও মেশিন পত্র চুরি করে বিক্রি করে মিলটিকে খোলা বানিয়ে
ফেলেছে বলে জানা গেছে। তাদের অব্যাহত লুটপাটের কারণে মিলটি ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও কোনো মহলের পক্ষ থেকে কোনোরূপ সাড়া মেলেনি।
মিলের চেয়ারম্যান মোঃ কওছার জামান বাবলা জানান, মিল কর্তৃপক্ষ মিলটিকে বেদখল মুক্ত করার জন্য সরকারের সকল মহলে বার বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও তাদের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে চেষ্টা বিফলে যায়। বর্তমান পরিস্থতির কথা বিবেচনায় নিয়ে গত ১৫ আগষ্ট মিলটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে মিলটির সর্বস্ব
লুটপাটের অভিযোগ এনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই শাহাবুদ্দীন ও তার স্ত্রী এবং যুবলীগ নেতা মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৭ আগষ্ট এ ব্যাপারে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন করা হয়। গত ১৮ আগস্ট মিলটি বেদখলমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করলে তিনি ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেন মিলটি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। গত সোমবার খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মোঃ আশরাফুল হক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উপস্থিতে প্রায় ১০ বছর পর মিলটি অবৈধ বেদখলমুক্ত করা হয়।
মিলটির চেয়ারম্যান মোঃ কওছার জামান বাবলা এ প্রতিবেদককে জানান, মিলটি যেভাবে লুটপাট করা হয়েছে তাতে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, তার ভাই শাহাবুদ্দীন ও তার স্ত্রী এবং যুবলীগ নেতা মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের বিরুদ্ধে মামলা করব।