সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে বলাৎকার ও দৃশ্য ধারন করার দায়ে গ্রেফতার-১

IMG_20240821_224815.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনার বটিয়াঘাটা থানার উত্তর শোলমারী গ্রামের হিন্দু মুসলমান পরিবারের অন্তত ২০ জন শিশু বালক ১০-১৫ বয়সী শিশু বালক বিভিন্ন সময়ে এক ব্যক্তি দ্বারা বলাৎকারের স্বীকার হয়েছে। গত’’ ২০ আগষ্ট বিকেলে এঘটনায় অভিযুক্ত একই গ্রামের তপন রায় (৪০) পিতা- মৃত-সুরেন রায় কে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। এলাকাবাসীদের ভাষ্য মতে জানা যায় অভিযুক্ত তপন রায় বেশ কয়েক বছর যাবত কোমলমতি বালকদের সাথে সখ্যতা গড়ে প্রায়শই তার মটরসাইকেলে উঠিয়ে ঘুরাফেরা করতে দেখা যেত। সে অল্প বয়সের ছেলে টার্গেট করে চকলেট, খেলনা, টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে

তুলতেন। পরে তাদেরকে ফুসলিয়ে তার নিজ বাড়িতে এবং কখনো কখনো আশপাশের বাগানে এবং আটো রিক্সায় নিয়ে যেতেন। এই সুযোগে তাদের সাথে অপ্রাকৃতিক যৌনলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সে শিশু বাচ্চাদের প্যান্ট খুলে ফেলতো এবং বিকৃত যৌনাচার করতেন। পূর্ব থেকে সেট করা মোবাইল ক্যামেরায় যৌনাচারের ভিডিও ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে রাখতেন। যৌন নিপীড়নের শিকার সব শিশুরা দশ থেকে ১৫ বছরের বয়স। অনেক সময় ছেলেরা রাজী না হলে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার জৈনক ব্যক্তি জানান, তিনি এধরনের গুঞ্জন শুনার পর অভিযুক্ত তপন রায়ের মোবাইল ফোন হতে সুকৌশলে ধারণকৃত বেশ অশ্লীন কিছু ফুটেজ সংগ্রহন করেন পরবর্তীতে ছবি দেখে ভুক্তভুগি বালকদের

সাথে কথা বললে এক-এক করে তপনের লালসার স্বীকার সকল ছেলেরা স্বীকার উক্তি দেয়। এঘটনায় আজ ভুক্তভুগি পরিবারের অবিভাবকগন একত্রিত হয়ে গ্রামবাসিদের সাথে নিয়ে অভিযুক্ত তপনের শাস্তির দাবিতে তাকে গৃহ বন্দি করে মুটোফোনে সেনাবাহিনী ও বটিয়াঘাটা থানায় খবর দেয়। পরিশেষে সেনা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে । পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এব্যপারে এলাকাবাসীদের পক্ষ হতে মোঃ সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন, যাহার নং-২৯০২(৩)/১ তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪। অভিযান চলাকালে গ্রামবাসীদের পক্ষে সোহেল পারভেজ, সুনিল বৈরাগী, আশোক মন্ডল, রনজিত মন্ডল, অনাদি মন্ডল, সুকৃতি মন্ডল, অনিন্দ বৈরাগী, মোঃ হানিফ আকন, রাজু মন্ডল, শিমুল মল্লিক প্রমুখ অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top