ইমাদুল ইসলাম, যশোর ::::::: কেশবপুরে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণ ও সর্বদলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও কেশবপুর থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১ থেকে কেশবপুর থানা পুলিশের আয়োজনে থানা কম্পাউন্ডে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আবুল হোসেনের ( উপ পরিদর্শক) সঞ্চালনায় এবং কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকেন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সাদমান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) কাজি দাঊদ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, জামায়াত ইসলামী কেশবপুর উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক মোঃ মোক্তার আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেশবপুরের প্রধান সমন্বয়ক সম্রাট,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, কেশবপুর ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দেবাশীষ রায়, বনিক সোসাইটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি পংকজ কুমার দাস, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক অহেদুর রহমান অন্তু প্রমূখ। উক্ত সভায় বক্তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, জমি দখল, অস্ত্রের মহড়া ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্য বিশেষ আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুলিশ উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে আইন শৃঙ্খলা ও বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষে দিকনির্দেশনামূলক এবং কিভাবে আগামীতে পুলিশ জনগণের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারে ও পুলিশের নিরাপত্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তুলে ধরেন সৈন্য বাহিনীর মেজর সাদমান। এই সময় তিনি আরো বলেন, বলেন বিগত দিনে পুলিশ কি করছে না করছে সেটা দেখার বিষয় না, সকল কিছু ভূলে গিয়ে পুলিশ আগামী দিনে জনগণের বন্ধু হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই । এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উগণমাধ্যম ও সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীগণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।