ইমাদুল ইসলাম, যশোর :::::::: এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক ও দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের। যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ১৯৩, তারিখ- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ধারা- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০ সালের ১৯ (১) টেবিলের ১ (খ)/৭(ক) মামলার আসামী মোঃ রেজাউল ইসলাম (৫০) এর বিরুদ্ধে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামী মোঃ রেজাউল ইসলাম (৫০) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ইং ০৭/০৭/২০২৪ তারিখ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা
প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন এবং উক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য যশোর জেলা পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন। র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প উক্ত পরোয়ানা সম্পর্কে অবহিত হয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ০৮/০৭/২০২৪ তারিখ সময় আনুমানিক ১৮.০৫ ঘটিকায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রেজাউল ইসলাম (৫০) যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন জামতলা ভেকুটিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ইং ০৮/০৭/২০২৪ তারিখ সময় আনুমানিক ১৮.৩৫ ঘটিকায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রেজাউল ইসলাম (৫০), পিতা- মৃত শেখ ইদ্রিস আলী, সাং- বড় ভেকুটিয়া, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- যশোর’কে গ্রেফতার করে। আসামীকে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে গত ইং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে ১২৫ গ্রাম হেরোইন সহ যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বড় ভেকুটিয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন রেখেছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে আরও ১০ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আসামী’কে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।