সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ সোমবার (৮ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহার গেট এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আল আমিন (৪০) নামক এক সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত আল আমিন নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। খুলনা সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে আল আমিন পূর্ব বানিয়াখামার লোহার গেট এলাকার একটি অটোরিকশা গ্যারেজে এসে বসে। এ সময় কয়েকজন যুবক তাকে চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আল আমিনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে। বেশকিছুদিন আগে তিনি মাদক মামলায় খুলনা সদর থানায় গ্রেপ্তারও হয়েছিল। হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে নিহত আল আমীন পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মামুনের গ্যারেজে এসে বসলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায়। দুর্বৃত্তরা তার ডান ও বাম পায়ের হাঁটু, বাম হাতের আঙ্গুলসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লোহারগেট গ্যারেজ মালিক তৈয়েবুর রহমান মামুনকে পুলিশ আটক করেছে। অপর একটি সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে আল আমীনকে গত
২ মাস পূর্বে পুলিশ আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে দেশী তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গত মাসে কারাগার থেকে জামিনে বের হয় আল আমীন। সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার জন্য প্রথমে কারাগারের রাস্তা বেছে নেয়। সে যাত্রায় আল আমীন বেঁচে গেলেও আজ হত্যাকারীদের ডাকে সাড়া দিয়ে নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়।