পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন:

 পাইকগাছা(খুলনা) পাইকগাছা ::::::   খুলনার পাইকগাছা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদী ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শেষ আশ্রয় টুকু নতুন করে ভাঙ্গনের ফলে বাপ দাদার কবর ও বসতভিটা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে নদী তীরে মানুষের। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে সব থেকে বেশি নদী ভাঙ্গনের ফলে রাড়ুলীর জেলে পল্লী,গদাইপুরের হিতামপুর ও কপিলমুনির রামনাথপুর,কাশিমনগরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমান জোয়ারের পানিতে কপোতাক্ষ তীরে বসবাস মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে ভয়াবহ ভাঙ্গনের কারণে। প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সরজমিনে উপজেলার ৮নং রাড়ুলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়। মালোপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এলাকাবাসী জানায়,প্রায় দুই যুগ ধরে

 

মালোপাড়ায় এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে। রাক্ষুসে কপোতাক্ষের করালগ্রাসে বিখ্যাত বিজ্ঞানীর জন্মস্থান রাড়ুলী হুমকির মুখে পড়েছে। মালোপাড়ার তাপস জানান,আগে এখানে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বসবাস করলেও ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক ঘর নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় ঘর-বাড়ি জমি হারিয়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছে। জেলেপল্লীতে এখনো প্রায় শতাধিক পরিবার আতংকের মধ্যে বসবাস করছেন। গদাইপুর ইউপির হিতামপুর মালোপাড়ার ঘরবাড়ী, গাছপালা ও জমি নদগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৫০ টি পরিবারের স্বপ্ন কপোতাক্ষ নদে ভেসে গেছে। কপিলমুনি ইউপির আগড়ঘাটা, সোনাতনকাটি, কপিলমুনি, কাশিমনগরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সরেজমিনে রামনাথপুর গিয়ে দেখা যায়,নদী ভাঙ্গনের ফলে পাইকগাছা- খুলনা মেইন সড়কের কাছাকাছি জোয়ারের পানি বইছে।

 

কথা হয় রামনাথ গ্ৰামের শেখ হারুন এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও ৬০ টি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে। ভাঙ্গন এলাকায় গত বছর কিছু অংশে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গনে বালির বস্তাগুলি নদে ধসে পড়েছে। বর্তমান নদীর জোয়ারের নদী পাড়ের ঘর গুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা উপজেলা উপ-সহকরী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাজালাল জানান,কপোতাক্ষের পাইকগাছা উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বাঁধ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top