সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::: দিঘলিয়া উপজেলার প্রাচীনতম খেয়াঘাট দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটে ঈদ এলেই ইজারাদারদের টোলের নামে অঘোষিত চাঁদাবাজী শুরু হয়। যা ঈদের দিন ও আগে পরে মিলে ৩-৫ দিন ধরে চলে চাঁদাবাজী। একজন পারাপার যাত্রীর ৪ টাকার স্থলে ব্যয় করতে হয় ১০ টাকা। মালামাল থাকলেতো কথাই নেই। রীতিমতো জবরদস্তি। ভুক্তভোগী মহল সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের উপর প্রতিষ্ঠিত ও খুলনা জেলা পরিষদ ও খুলনা জেলা পরিষদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ৮টি খেয়াঘাটের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট। এ ঘাটটি দিয়ে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার লোক পারাপার হয়। মালামাল পারাপার হয় হাজার হাজার বস্তা।
এ ঘাটটি এ নদের প্রাচীনতম খেয়াঘাট। এ ঘাটটিতে প্রতিনিয়ত লোকজন স্বাচ্ছন্দে মালামাল নিয়ে পারাপার হলেও আধুনিক কালে এসে এ খেয়াঘাটটি হয়ে উঠেছে মহল বিশেষের বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী মহল। কয়েক বছর থেকে এ ঘাটের টোল ২ টাকা নির্ধারণ থাকলেও করোনাকালীন এ খেয়াঘাটের ঠিকাদারের টালমাটাল অবস্থার পর থেকে শুরু হয়ে গেল ৪ টাকা করে টোল আদায়। যেহেতু ঠিকাদারের খেয়াবিহীন খেয়াঘাট তাই নৌকার মাঝিরা নেয় ২ টাকা। ইজারাদার আদায় করে জন প্রতি ২ টাকা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ খেয়াঘাটটিতে ঈদকালীন ঈদের বাজারে লোকজনের আগমন প্রস্থান বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ইজারাদার ও ঘাটের মাঝিদের কালেকশন দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত ঈদ-উল-
ফেতরের ঈদে স্থানীয় প্রশাসন লোক নিয়োজিত করে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও ঈদ-উল-আযহায় আদায় হয় জনপ্রতি ১০ টাকা করে। মালামাল সাথে থাকলেতো কথাই নেই। রীতিমতো লাইসেন্সধারী চাঁদাবাজী এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী দিঘলিয়া উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বৈধ চাঁদাবাজী যাতে কেউ না করতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিলেও আদৌ তা কাজে আসছে না। এলাকার ভুক্তভোগী মহল তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ ঘাটের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষসহ সকল উর্ধতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।