সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ ইদ-উল-আযহার প্রধান জামাত খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায় টাউন জামে মসজিদে। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য মসজিদ ও ঈদগাহসমূহে পরিচালনা কমিটি জামাতের সময় নির্ধারণ করবে। নগরীর বসুপাড়া ইসলামাবাদ কমিউনিটি সেন্টার ঈদগাহ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ ঈদগাহ মাঠ, খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, বায়তুন নুর জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক
এলাকার বায়তুল্লাহ জামে মসজিদ, নিরালা আবাসিক এলাকা ঈদগাহ, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা ঈদগাহ, দৌলতপুর ঈদগাহ এবং খালিশপুর ঈদগাহ ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে সংশ্লিষ্ট ঈদগাহ ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি সময় নির্ধারণ করে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে পৃথকভাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ইদ মোবারক (বাংলা ও আরবী) খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদ -উল-আযহা উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল
তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, ড্রাম বাজানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না। ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঈদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোষাকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোরবানির চামড়ার বাজারকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে। পশুর চামড়া ভালোভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং কোরবানির পর পশুর রক্ত দ্রুত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলাসহ দ্রুততম সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। পশুর চামড়া নির্ধারিত দামে ক্রয় করা এবং এতিমখানা মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা
যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। খুলনা মহানগর ও জেলায় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে যত্রতত্র পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে সকল পশু কোরবানি বা জবাই করতে হবে। প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লীদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে। মুসল্লীদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থা রাখা হবে। বাস, লঞ্চ, স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোন সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে র্যা র ্যাবের কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭১০৬৯৯-এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুবিধাজনক সময়ে সেমিনার অথবা৷ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। বাসের ছাদে বা হাতলে ঝুলে কোন যাত্রী বহন করা যাবে না। ঈদ উপলক্ষে দৌলতপুর খেয়াঘাট,
জেলাখানা ঘাট ও রূপসা ঘাটসহ সকল লঞ্চ, খেয়া ও ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত টোল বা ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং লঞ্চ, নৌকা বা ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। পবিত্র ইদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে। ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ চত্ত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। ঐ দিন বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন,
ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় ও তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় খুলনা আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য মসজিদ ও ঈদগাহসমূহে পরিচালনা কমিটি জামাতের
সময় নির্ধারণ করবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৭ জুন (সোমবার)এবং লঞ্চ/নৌকা/ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। পবিত্র ইদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।