সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::::: দিঘলিয়া খুলনা থেকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মানুষের জীবন যখন প্রচন্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত ঠিক সেই সময় মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ। মশার উপদ্রবে ঘরে-বাইরে, হাটে-বাজারে, পথে-ঘাটে কোথাও এতটুটু স্বস্তি নেই। সর্বত্র মশা আর মশা। দিনের বেলায়ও ঘরে বসার উপায় নেই মশারী ছাড়া। উপজেলা পরিষদ গ্রামাঞ্চলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করেছে ঠিকই কিন্তু মশা নিধনে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে এর কোনো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নেই বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীমহল। কারণ অধিকাংশ ড্রেন উন্মুক্ত ও সারা বছর পানি জমে থেকে মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে। পাশাপাশি উক্ত ড্রেনগুলো অধিকাংশ এলাকার মানুষের পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যবহার করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিগত বছরে সারা দেশে যখন
ডেঙ্গুতে বহু লোক আক্রান্ত হচ্ছিল এবং আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী মারা যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদকে মশা নিধনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিলেও দিঘলিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি মশা নিধনে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা এ বিষয়ে সচেতনতামূলক নির্দেশনা সারা বছর দিয়ে থাকি। আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ এডিস মশা থেকে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়। কিন্তু বর্তমানে পরীক্ষায় দেখা গেছে সাধারণ মশার কামড়েও ডেঙ্গু রোগ হতে পারে। তাই সব মশা থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে। তবে মশা নিধনে কর্মসূচি গ্রহণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মশার উপদ্রবে জনজীবন বিপর্যস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা নেই।