খুলনা প্রতিনিধিঃ গত ২১ মে ৬ষ্ঠ ফুলতলা উপজেলা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে শেখ হাদিউজ্জামান নামে একজনকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেন তথাকথিত সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শেখ হাদিউজ্জামান প্রতিবেদক কে জানান, ৬ষ্ঠ উপজেলা সাধারণ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিলকিস আক্তার ধারা, মটর সাইকেল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা ফেরদৌস নিশা, কলস প্রতীকের সর্মনে কাজ করছিলাম ৫ নং ওয়ার্ডের গিলাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে। বিকাল ৪টা ভোট গ্রহনের শেষ সময়ে আনারস প্রতীকের সর্মাথক ভোট কেন্দ্রের সামনে গোলযোগ সৃষ্টি করে আমি বাধা দিতে গেলেই উপর্যপুরী আমার উপর হামালা চালায় তথাকথিত সন্ত্রাসী বাহিনী খান আব্দুল হালিম, শেখ পলাশ, মিন্টু খান, আল আমিন খন্দকার, কালাম শেখ, টুকু শেখ, সালাম শেখ, রুহুল খন্দকার সহ আরো অনেকে।
ভুক্তভোগী আরো জানান, সক্রিয় এই সন্ত্রাসী চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। শুধুমাত্র উপজেলা নির্বাচনে নয় গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান করে, নৌকা প্রতীকের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ হাদিউজ্জামান কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা নং ২৫, তারিখ ২৩/৫/২৪ইং এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে খান জাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।