সাগর কুমার বাড়ুই খুলনাঃ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহŸানে ২৬মে রবিবার সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ন্যায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর শিক্ষক সমিতি একযোগে সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকা শক্তি। সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন
নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র একই শ্রেণীর কর্মচারীর একটি নির্দিষ্ট অংশকে সুবিধাবঞ্চিত করবে। শিক্ষকদের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবে এবং ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় যোগদানে নিরুৎসাহিত হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় হবে বলে বক্তারা মতামত দেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সর্বজনীন পেনশন চালুর মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমাজে বৈষম্য সৃষ্টির যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে তা কুয়েটের সকল শিক্ষক প্রত্যাখান করেছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব তার বক্তব্যে বিদ্যমান পেনশন এবং প্রত্যয় স্কিমের সুবিধা ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই ব্যবস্থা সরকারি
অন্যান্য চাকুরীজীবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বাড়াবে। তিনি প্রত্যয় স্কিম বাতিল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতনস্কেল প্রবর্তনের সময় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে অন্তর্ভূক্তি করার যে প্রতিশ্রæতি প্রদান করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে আহŸান জানান। এ সময় তিনি মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অবিলম্বে স্বতন্ত্র বেতনস্কেল গঠনেরও দাবি জানান।