অন্তর আহমেদ, নওগাঁঃ নওগাঁয় গন্ডগোলের জেরে জোর করে জমি দখল নেয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার কিত্তুপুর ইউনিয়নে ব্যাংকার শামীম রেজা খানের বাবার ১৯৭৩ সালে ২৫ শতক কবলাকিত সম্পত্তি ৪২ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন কিন্তু হঠাৎ একই ইউনিয়নের পাড়া প্রতিবেশী খালেক নেওয়াজ মাবুদ (৬২) সঙ্গে ঝগড়া হলে ঝগড়ার জেরে রেজাউল ইসলাম শাহ (৫০), পিতা-মৃত কোমর উদ্দিন উদ্দিন, শাহাজান শাহ (২৮), পিতা-রেজাউল ইসলাম শাহ, সাগর শাহ (৩৫), পিতা-রেজাউল ইসলাম শাহ, মোঃ রতন শাহ (৪০), পিতা-রেজাউল ইসলাম শাহ সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জমির কাঁটাতারের
বেড়া ও গাছপালা কেটে ফেলে জমি দখল করে নেয় এই বিষয়ে মো: শামীম রেজা খানের স্ত্রী মোসা: শাম্মি আক্তার (৪২) বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও মেলেনি কোন প্রতিকার। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ব্যাংকার শামীম রেজা খানের প্রতিবেশী খালেক নেওয়াজ মাবুদের সঙ্গে গত ৬/৭ মাস আগে জমি নিয়ে গন্ডগল হয়। তারই জেরে খালেক নেওয়াজ মাবুদ ফলন্ত বেলের গাছ কেটে ফেলে ও জমির তারকাঁটা বেড়া,জমিতে দেওয়া আড়ানি ভেঙে ফেলে জমি দখল করে।
মোসা: শাম্মি আক্তার বলেন, আমার শশুর এর ১৯৭৩ সালে কেনা জমি সেই জমিতে আমর শশুর ৪২ বছর ধরে জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ আমরা জানতে পারি আমাদের জমির গাছ কাটছে খালেক নেওয়াজ মাবুদের ছেলেরা, জমিতে গিয়ে দেখি গাছ টাকা শেষ। আমরা এতে প্রতিবাদ করলে আমাদের নানা ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের হত্যার হুমকি দেয়
এবং জানায় আমাদের তারা এলাকা ছারা করবে। এবং আরো বলে আজ থেকে অত্যাচার শুরু কাল থেকে আরো বেশী অত্যাচার করবে বলে হুমকি দিতে থাকে। খালেক নেওয়াজ মাবুদ খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক, তার দ্বারা যে কোন সময় আমার এবং আমার পরিবারের যে কোন সদস্যদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হতে পারে।
ব্যাংকার শামীম রেজা খান বলেন, আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জমি ক্রয় সূত্রে মালিক। আমার বাবা ও আমি উক্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসতেছি। আমার জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে খালেক নিয়াজ (মাবুদ) এই জমি ছাড়াও আমাদের আরো ও অন্যান্য জমি দখলের জন্য পায়তারা করতেছে। তারা আমার জমি সংলগ্ন তাদের জমিতে বড় করে গর্ত করে আমার জমি সিমানা ভেঙ্গে গর্তের মধ্যে পড়ার কারনে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা আমাকে হুমকী প্রদান করে।
গত ০৭/১০/২০২৩ তারিখে বিকাল অনুমান ০৩.০০ সময় নওগাঁ সদর মডেল থানাধীন কীর্ত্তিপুর গ্রামস্থ আমার জমিতে থাকা ডাব গাছের ডাব পাড়তে গেলে খালেক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা আমাকে মারপিট করারে। আমমার ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে চলে যায়। আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। তবে এই বিষয়ে খালেক নিয়াজ মাবুদ ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: জাহিদুল হক বলেন, আমি থানায় যোগদানের পর কোন এরকম অভিযোগ পাইনি, পেলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।