সাগর কুমার বাড়ই খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন ক্যাম্পাস’ শীর্ষক ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালা আজ ১৩ মে (সোমবার) শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনের আইকিউএসির প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯.১৫ মিনিটে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব সকলের। নিজেদের ঘরকে আমরা যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি, তেমনি নিজের কর্মস্থল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কেও রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে- শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন বহু লোকের সমাগম ঘটে। তাদের সামনে ক্যাম্পাসকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন
করা সকলের কাজ। এজন্য সকলকে কাজের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন-ক্লিন হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার মধ্যে- সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রিন এনার্জি উৎপাদন, প্রাণিদের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি, লেক ও পুকুর সংরক্ষণ এবং সৌন্দর্য্যবর্ধন, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নানা প্রজাতির বৃক্ষরোপণ উল্লেখযোগ্য। এ বছর আরও ৩ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে বলেও উপাচার্য উল্লেখ করেন। উপাচার্য এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। আইকিউএসির
পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল সেশনের রিসোর্স পারসন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে একটি টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন। এ ছাড়াও রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার। এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।