যশোর বেনাপোল এলাকা হতে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার 

ইমাদুল ইসলাম , যশোর ::::: যশোর বেনাপোল থানা এলাকা হতে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর গত ইং ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানা এলাকায় স্বামী কর্তৃক নিজ স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন পূর্বক স্ত্রীর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ভিকটিমের শাশুড়ী মামলা রুজুর পরপরই গ্রেফতার হলেও মূল অপরাধী ঘাতক স্বামী ঘটনার পরপরই নিজেকে আত্মেগোপন করে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও হৃদয় বিদারক হওয়ায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য অত্র

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের সহযোগীতা চান। র‌্যাব-৬,সিপিসি -৩ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৯ মে রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে জানতে পারে যে, জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় মামলার আসামী মোঃ ইব্রাহিম আত্মগোপনে আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১০ মে রাত ১টার দিকে উক্ত এলাকা হতে আসামী আব্দুল প্রধানিয়ার পুত্র মোঃ ইব্রাহিমকে আটক করে। মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মৃত খাদিজা আক্তার (২৩), পিতা- মোঃ খোকন মিয়া বকচর, থানা- মতলব দক্ষিণ, জেলা- চাঁদপুর এর সহিত মোঃ ইব্রাহিম প্রধানিয়া (৩৮) এর পারিবারিক ভাবে গত চার বছর পূর্বে বিবাহ হয় এবং তাদের পরিবারে দুইটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। গত এক বছর যাবৎ ভিকটিমকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার নিয়ে

 

আসার জন্য তার স্বামী ও শাশুড়ী মিলে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এরই ধারাবহিকতায় গত গত ১০ এপ্রিল রাতে ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে কোন ধরনের ঈদের বাজার না করায়, উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে তার স্বামী ও শাশুড়ী মিলে নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকা ডিজেল ভিকটিমের শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভায়। কিন্তু ততক্ষণে ভিকটিমের প্রায় সম্পূর্ণ শরীর আগুনে পুড়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট, ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসারত অবস্থায় ইং ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে ভিকটিম মারা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং সে আরো জানায়, গ্রেফতার এড়ানোর জন্য যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিল। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top