সেলিম খান সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার কমিশনার আসাদুজ্জামান তুহিন এর ঘেরের মাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার করেছেন আসাদুজ্জামান তুহিন।এজাহার থেকে জানা যায় কলারোয়া থানাধীন তুলশীডাঙ্গা মৌজায় ইউরেকা তেল পাম্পের পূর্ব পাশে মাঠের মধ্যে
বানিজ্যিক ভাবে আমার মাছ চাষের ঘের আছে। আমি আমার উক্ত ঘেরে চাষকৃত মাছে মধ্যে হইতে বাছাইকৃত বড় মাছ উক্ত ঘেরের উত্তর পার্শ্বে অনুমান ০৫ কাঠা জমির উপরে নির্মিত টপে রাখিয়া আলাদা ভাবে চাষ করিয়া থাকি। বর্তমানে আমার ঘেরের উক্ত টপে অনুমান ১১/১২ মণ বড় মাছের চাষ করিতে ছিলাম। আমার ঘেরের পাশে আসামী
মনিক এর একটি ছোট ডোবা আছে। অভিযুক্ত মোঃ মানিক কয়েক দিন ধরে তাহার ঐ ডোবা দেখার নাম করে রাতের আঁধারে আমার ঘেরের আশে পাশে সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাঘুরি করিতে থাকে। বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। এমতাবস্থায় গত ইং ২৫/০৪/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আমি আমার মাছের ঘেরে চাষকৃত মাছের খাবার দিয়ে বাড়ীতে চলে আসি। পরের দিন অর্থাৎ ইং ২৬/০৪/২০২৪ তারিখ সকাল
অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার মাছের ঘেরে গিয়ে দেখি ঘেরের মধ্যে পোতা বাঁশের আগা তোলাএবং ঘেরের মধ্যে ভাসমান পানা এলোমেলো। তখন আমি আমার ঘেরের উত্তর পাশের টপের মধ্যে নেমে দেখি উক্ত টপে আমার চাষকৃত বড় মাছ নাই । চুরি হইয়া গিয়াছে। তখন আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন আমার ঘেরের টপ হইতে চুরি যাওয়া মাছ খোজাখুজি করিতে থাকি। খোজাখুজি একপর্যায়ে দেখি অভিযুক্ত মোঃ মানিক এর ডোবায় আমার টপে রাখা বড় বড় মাছের মধ্যে হইতে কিছু মাছ প্রচন্ড গরমের কারনে মরে পানির উপরে ভাসিতেছে । তখন আমি সহ এলাকাবাসী অভিযুক্ত মানিক এর ডোবার পাড়ে গিয়ে ঐ মরামাছ দেখে সনাক্ত করি।
১২ মণ মাছ, মূল্য অনুমান ১,০০,০০০/-(একলক্ষ) টাকা চুরি করিয়ামমোঃ মানিক এর ডোবায় মজুত করিয়া রাখিয়াছে।অভিযুক্ত মানিক মিয়ার নামে কলারোয়া ইউরেকা এলাকায় একটিস সন্ত্রাসী বাহিনী আছে বলে অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান তুহিন। আসাদুজ্জামান তুহিন আরো বলেন আমি কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে যদি বিচার না পাই তবে কলারোয়া সাধারণ মানুষের কি হবে? তিনি এই বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও কলারোয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।