ইমাদুল ইসলাম, যশোর ::: যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের শাখারীগাতী গ্রামের বহুল আলোচিত রিংকির নামে খুলনার আমলী আদালতে প্রতারণার শিকার রিংকির ২য় স্বামী সাদমান হোসেন ফাহিম মামলা দায়ের করেছে। আদালত এবিষয়ে আসামী রিংকি কে আদালত সমন জারি করেছে। মামলার বিষয়ে সাদমান হোসেন ফাহিম জানান। খাদিজা পারভিন রিংকি খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে আমার ও রিংকির ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে এবং তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে আমি কিছু দিন পরই তার বেপরোয়া জীবন সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা উভয়ে কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসি। কিন্তু কিছু দিন পর হঠাৎ করে রিংকি আমার বাসায় এসে বিয়ের দাবী করে। আমি তার বিষয়ে জানার পর আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি না হলে রিংকি আমার নামে ও আমার পরিবারের সদস্যদের
নামে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন এবং চাঁদাবাজী মামলা করলে আমাকে আটক করে এবং আমি জেলে থাকা অবস্থায় আমার পিতা মাতা কে জিম্মি করে আমাকে ২০ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিন্তু রিংকির পিতা মাতা তার মেয়ের বেপরোয়া চলাফেরা এবং তার আগের বিয়ে সহ সমস্থ অপকর্ম জানা সত্বেও সব কিছু গোপন করে আমাকে ২০ লক্ষ টাকায় এই বিয়ে করতে বাধ্য করে। বিয়ের কিছুদিন পরেই বহরুপি রিংকির আসল চেহারা আমার সামনে প্রকাশ হতে থাকে। সে প্রতিনিয়ত আমাকে মিথ্যা মামলার হুমকি দিতে থাকে। কিছুদিন পরেই আমি জানতে পারি সে খুলনার আরেক যুবক নাকিবুল নামে একজন কে ১ লক্ষ টাকা রেজিষ্ট্রি কাবিন মুলে ২০১৯ সালের ২৩ শে মার্চ বিয়ে করে যা প্রতারক রিংকি কিংবা তার বাবা মা কোন কিছুই আমাকে কিংবা আমার পরিবার কে জানায়নি। এছাড়া বিয়ের পর রিংকি একাধিক বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আমার কাছে হাতেনাতে ধরা খায়। বিয়ে এবং প্রতারণার অভিযোগে মামলার বিষয়ে জানতে খাদিজা পারভিন রিংকি কে মোবাইল নং ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন