শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা ::::: পাইকগাছার কপিলমুনিতে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ কে বরণ করে নিতে র্যালী ও পান্তা আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঞ্জালী জাতীর প্রাণের উৎসব শুভ নববর্ষ পালনে রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টায় সম্মিলিত নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ও কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেকেএসপির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। উক্ত র্যালীতে এলাকার শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতীরা গ্রামীণ নানা সাজে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ৮.৩০ মিনিটে বাজ্ঞালীর প্রানের উৎসব শুভ নববর্ষকে ঘিরে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে বসে পান্তা ইলিশের আসর। আড়ম্বপূর্ণ পরিবেশে পীর মুণি ঋষির পূণ্য ভূমিতে শুভ নববর্ষ পালনে তাই যেন সকলে উল্লাসে মিলেছিল এক মিলন মেলায়। সম্মিলিত নববর্ষ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও কপিলমুনি কেকেএসপির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সদস্য সচিব ও কেকেএসপির সহ-সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র দে এর সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, পার্লামেন্ট জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ও কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, অধ্যাপক রেজাউল করিম খোকন, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম হেদায়েত আলী টুকু, সাধারণ সম্পাদক মিলন দাশ ও শেখ আব্দুস সালাম, কেকেএসপির সাধারণ সম্পাদক এম বুলবুল আহমেদ, অধ্যক্ষ শিমুল বিল্লাহ বাপ্পী, আব্দুস সাত্তার, কপিলমুনি মেহেরুন্নেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আখতার শম্পা, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মন্ডল, মামুদকাটী অনির্বাণ লাইব্রেরীর সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক অজয় সাধু,
কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, হিমাদ্রী শেখর দে, কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) সঞ্জয় কুন্ড, শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অনেকে। প্রসংগত, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। এ উৎসব বাঞ্জালীর গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।