নিজ জমি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ফুলতলার চা দোকানদার আবুল হোসেন

রিপন হোসেন ফুলতলা খুলনাঃ ঘটনা সূত্রে জানা যায় মোঃ আবুল হোসেন, পিতাঃ মৃতঃ মোহাম্মদ আলী গাজী, গ্রামঃ দক্ষিণ শাহজাদপুর(গাজী পাড়া), পোষ্টঃ খেশরা, ইউনিয়নঃ ১০ নং খেশরা, থানাঃ তালা, জেলাঃ সাতক্ষীরা জীবিকার তাগিদে দির্ঘ্য প্রায় ১৬ বছর আগে চলে আসেন খুলনা জেলার ফুলতলায়। জীবিকার তাগিদে এখানে তিনি গড়ে তোলেন চা’য়ের দোকান। ব্যবসার ব্যস্ততার কারনে গ্রাম এবং গ্রামের বাড়ির সাথে তার গড়ে ওঠে খানিকটা দুরত্ব। আর এই সুযোগটাই কজে লাগান তারই রড় ভাই মগুল হোসেন গাজী। তিনি তার ছোট ভাই আবুল হোসেন এর জমিতে গড়ে তোলেন বসতঘর এবং শুরু করেন চাষাবাদ। এই খবর গ্রামে বসবাসরত গ্রামবাসীর কাছ থেকে পাওয়া মাত্র তিনি গ্রামে যান এবং বড় ভাইয়ের নিকট জানতে চান যে বিষয়টা কি, তার জমিতে তাকে না জানিয়ে ঘর ও চাষাবাদের কারন কি? তখন তিনি তাকে কোন উত্তর না দিয়ে তার সাথে দূর্ব্যবহার করেন এবং

আবুল হোসেন কে জোড়পূর্বক গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেন। আবুল হোসেন একা হওয়ায় কোন উপায় না পেয়ে নিজ সম্মান ও নিজেকে রক্ষার্থে তখনই স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তিতে গ্রামের কিছু পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বিষয়টি নিয়ে ফোনে আলাপ করলে তারা তাকে গ্রামে এসে তাদের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। আবুল হোসেন গ্রামে এসেছে এই খবর শুনে তার বড় ভাই মগুল হোসেন ও তার দলবল আবুল হোসেনের উপর চড়াও হয় এবং তার প্রাণ নাসের হুমকি দেয় এছাড়াও যেসমস্ত গ্রামবাসি তাকে আশ্রয় দিয়েছিল তাদেরকেও অপমানিত ও হুমকি প্রদান করেন যাহাতে আবুল হোসেন কে তাহারা কেহ কোন প্রকার সহযোগীতা নাকরেন। আর এই সকল সন্ত্রাসী কাজে মগুল হোসেনকে সম্পূর্ণ রূপে মদদ যোগাচ্ছে মজিদ গাজী

ও আলী গাজী নামক দুই জন সন্ত্রসী। কোনো উপায় না পেয়ে আবুল হোসেন চলেযান স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প বালিয়া ক্যাম্পে। ক্যাম্পে দ্বায়িত্ত্বরত অফিসারকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ আকারে সবঘটনা জানালে উক্ত অফিসার তাকে সঠিক বিচার পাইয়ে দেবার আশ্বাস দিলেও তারা আবুল হোসেনকে কোন প্রকার সহযোগীতাই করেন নাই বলে আবুল হোসেন অভিযোগ করেন। উপরন্ত আবুল হোসেন টি, এন, ও এর সরনাপন্ন হতে চাইলে বালিয়া ক্যাম্প এর অফিসার তাকে এই বলে বাধা প্রদান করেন যে, এটা আমাদের কাজ টি, এন, ও এখানে কি করবে। ভূমিহারা আবুল হোসেন এখন তার প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top