কলারোয়ার রোগ গ্রস্ত গরু কসাইয়ের কাছে যাচ্ছে রবিউল ব্যাপারির হাত ধরে 

সেলিম খান সাতক্ষীরাঃ  কলারোয়ায় বেপরোয়া গরুর ব্যাপারি আলম। কলারোয়ায় বিভিন্ন গ্রামের রোগ গ্রস্ত গরু কিনে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করছে রবিউল ইসলাম ও তার ছেলে। কলারোয়া উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা পাড়পাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম ও ছেলে এর আগেও রোগ গ্রস্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এই রবিউল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। তারা দুই বাপ বেটা দুই জনে গরু এবং ছাগলের ব্যাপারি এবং বড় ধরনের বাটপার।তারা গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগ গ্রস্ত গরু বিক্রির জন্য উৎসাহ দিয়ে লক্ষ টাকার গরু হাজার টাকায় কিনে অধিক লাভে বড়ো বড়ো কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে থাকে। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন  তারা গত বছর রোগ গ্রস্ত গরু জবাই করে।
বিক্রির অপরাধে অভিযুক্ত হয় এ সময় বিভিন্ন মহলকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে। তার পর থেকে কলারোয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোগাক্রান্ত গরু কিনে হাট বাজারে না তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আর তা রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন কসাইয়ের কাছে অধিক দামে বিক্রি করে থাকে বলে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের জানান। এই ছাড়াও স্থানীয় অনেক মহল তার এই কাজকে সাপোর্ট করে বলে জানা গিয়েছে।
 মঙ্গলবার  কাশিয়াডাঙ্গা গাজী পাড়া থেকে একটি রোগ গ্রস্ত গরু কিনি নিজ বাড়িতে রাখা আছে যা আজ বুধবার রাতে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার বিকালে রবিউল ব্যাপারির বাড়িতে গিয়ে গরু এবং ছাগল কিনতে চাই আমরা  (সাংবাদিকরা)।গরু, ছাগল ও দেখানো হয় আমাদের, কিন্তু রোগ গ্রস্ত গরু দেখা না পেলে আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেই তাদেরকে, এবং রোগ গ্রস্ত গরু এখন কোথায় জানতে চাইলে তখন ব্যাপারি
জানান আমি ঐ গরু খুলনায় বিক্রি করে দিয়েছি।সে সেই গরু কিনেনি বলে দাবি করলে আমরা চলে আসার সময় পাশের একজন জানান গরু তার পাশের গোয়ালের অন্ধকার রুমে আছে।আমরা আবার তার বাড়িতে যাই এবং দেখি তথ্য সত্য। সেই রুমে অন্ধকারের মধ্যে দুইটি গরু আছে।তার ভিতরে মঙ্গলবার গাজী পাড়া থেকে ক্রয়কৃত সেই গরু ও আছে। তখন তিনি জানান তিনি বাড়িতে রেখে সুস্থ করে বিক্রি করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে কেন মিথ্যা বললেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা প্রতিদিন গরু কিনি বিক্রি করি তার জবাব কাউকে দেব না। সেই সময় পাশে বিভিন্ন মহল তার পক্ষে সুপারিশ করতে আসেন। বিষয়টা সাংবাদিকরা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে জানালে  তিনি বলেন এটা গুরুতর অপরাধ তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এবং তিনি  কলারোয়া নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top