গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত তিন মাস যাবৎ হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা গেছে আউট সোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীদের কোন কাজে পাওয়া যায় না। যাদেরকে পাওয়া যায় তারা সবকিছু করে টাকার বিনিময়ে। রোগীকে হাসপাতালে আসলে বেড নেওয়া থেকে শুরু হয় টাকার খেলা। আউটসোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীরা ঠিকঠাক হাজিরা উঠিয়ে হারিয়ে যায় ব্যক্তিগত কাজে। এব্যপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারি একান্ত প্রয়োজন। গোপালগঞ্জের শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকার কর্তৃক ঠিকাদারদের মাধ্যমে আউট সোর্সিং এ ১৬৩ জনবল নিয়োগ দিয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ে। এই সকল নিয়োগ প্রাপ্তরা প্রতি মাসেই সময় মত বেতন
ভাতা বুঝে নিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে। বেতনভাতা সময়মতো নিলেও কর্মস্থলে অনেককে পাওয়া যায় না। এরা কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে যোগদান করেছে এই হাসপাতালে। ঠিকাদারদের নিজস্ব লোকজনদেরকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এই সকল নিয়োগ প্রাপ্ত লোকেদের মধ্য অধিকাংশকে কর্মস্থলে নাই। এরা হাসপাতালে ডিউটি করছে যা যার ইচ্ছা মত। কেউ সময়মতো এসে বেতন তুলে নিচ্ছে, কেউবা দুর থেকে হাজিরা বসিয়ে সুবিধা লুটছে । এ ব্যপারে বাঁধা দেওয়ার কেউ নাই কারণ এরা সব হাসপাতালের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে এরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চাকরিতে যোগদান করেছে তারাও এ ব্যপারে
নজরদারি করেন। ঠিকাদাররা টাকার বিনিময়ে এদের যোগদান করিয়ে খালাস। ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।গণমাধ্যম কর্মীদের একটি দল অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গেলে।নাম না জানাতে ইচ্ছুক এক কর্মচারীরি নিকট অনুপস্থিত লোকজনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা সকলেই এই এলাকার ও আশেপাশের লোকজন। কেউ এলাকার দাপট দেখিয়ে চলে কেউবা প্রভাবশালী ঠিকাদার এর লোক দিয়ে চলে। যে যার ইচ্ছামতো ডিউটি করে দেখার কেউ নাই।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক প্রিন্সিপাল ড. মো. জাকির হোসেন বলেন,
প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সম্পদ এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আউট সোর্সিং এর জনবল যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছে, সেই সকল ঠিকাদারদের উচিত ওরা ঠিকমতো কর্তব্য পালন করছে কিনা।আমি এই সকল বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। এব্যপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুল লতিফ এর কাছে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে আমরা কড়া নজরদারি করছি। মেডিকেল হাসপাতালটি আপনাদের সকলের সম্পদ। এ ব্যপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের সাধ্যমতো আমরা কাজ করছি ।