ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের কারনে বেড়েছে অনেকের সর্দিকাশি,গলাব্যাথা

রিপোর্টার গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতিঃ বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় ৭দিন ধরে শৈত্য প্রবাহের চাপ থাকায় শিশু সহ,যুবক কিশোর অনেকেরই সর্দিকাশি ও গলাব্যাথার সমস্যা দেখা দিয়েছে।পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে দিবাভাগে কোন সূর্যের আলো না থাকাই প্রচন্ড শীতে কাপছে হাজার হাজার মানুষ।কেউ কাঠখড় পুড়ে আগুন জ্বালিয়ে তাপমাত্রা নিচ্ছে শরীরে।তবে অনেক অসহায় গরীব লোক শীতবস্ত্র কিনতে অসার্থরা কাপছে শীতের হাওয়া বাতাসে।এদিকে ৭দিন ধরে সুর্যের আলো না থাকায় বাড়ছে অনেকেরই বিভিন্ন সর্দি-কাশি,ঠাণ্ডা-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর এক ধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ যা মানবদেহের ঊর্ধ্ব শ্বাসপথ,বিশেষ করে নাকে আক্রমণ করে।এছাড়া এই রোগে গলবিল, অস্থিগহ্বর

ও স্বরযন্ত্রও আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার দুই দিন পর বা তারও আগেই এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি প্রকাশ পেতে পারে।তীব্র শৈত্য প্রবাহ চলছে এখন আমাদের এই মৌসুমে ঘর থেকে বের হলেই প্রচণ্ড শীত।হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়।এই সময় বাড়ে সর্দি-কাশির সমস্যা ও বিভিন্ন রোগের লক্ষ্মণ ও উপসর্গ এবং ঠান্ডার প্রকোপে অনেকের নাক বন্ধ হয়ে যায়।শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়ে থাকে এবং ওষুধে এই সমস্যার সমাধান হয় দেরিতে রোগে ভুগতে হয় বেশ লম্বা সময় ধরে তবে উপকারী কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সঠিক নিয়মে গ্রহণ করা হলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে অল্প সময়েই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।এ বিষয়ে চিকিৎসা বিদদের ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।তাহলে আসুন জেনে নিই নাক বন্ধের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান কিভাব করা যায়।

যেমন-রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি শর্ম বন্ধ নাকের সমস্যা দূর করবে।যা ফ্লু প্রতিরোধেও কাজ করে এবং ২-৩টি রসুন থেঁতলে এক কাপ পানিতে ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।তারপর পানি ছেঁকে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে।দিনে দুবার রসুন পানি পানে দ্রুতই নাক বন্ধভাব ভালো হয়ে যাবে।আদা কুঁচি করে কেটে অল্প লবণে মেখে চিবিয়ে আদার রস গ্রহণ করতে হবে।এভাবে সরাসরি আদার রস পান করলে দ্রুতই নাক বন্ধ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।ইনফেকশন ও নাক বন্ধের সমস্যায় লেবু খেতে পারেন।লেবু খাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে অর্ধেকটি লেবুর রস,এক গ্লাস পরিমাণ পানি ও এক চা চামচ মধু।প্রথমে পানি গরম করে এতে মধু মিশিয়ে নিতে হবে।পরে এতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। রোজ দুবার লেবু-মধুর মিশ্রণ খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি।যা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলোর প্রকোপ কমাতে কাজ করে।বিশেষত বন্ধ নাকের সমস্যাটি কমিয়ে স্বাদ ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা খুব ভালো

কাজ করবে।দেড় গ্লাস পানিতে ৫-৬টি তেজপাতা পনের মিনিট জ্বাল দিতে হবে।জ্বাল দেয়া শেষে পানি ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে।নাক বন্ধ সমস্যা দূর করার আরেকটি ভালো উপায় মেনথল।গরম পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা মেনথল ফেলে একটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকুন এবং এরপর গরম পানির ভাপ নিন,দেখবেন নাক বন্ধ সমস্যা অনেকটাি কমিয়ে গেছে।তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে ও দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।কারণ সর্দি কাশি গলাব্যাথা,খুশিখুশি কাশ,হলে রাতে কোন রুগী ঠিক মতো ঘুমাতে পারেনা।তবে এই ঠান্ডায় কোভিড -১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ও সন্ভাবনা হতে পারে।তবে এর চাইতে তাপমাত্রা আরো কমলে বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি বলেন,গত ৭দিন ধরে যেভাবে শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ চলছে অনেক লোকেরই সর্দিকাশি গলাব্যাথা দেখা দিচ্ছে।এজন্য তিনি বলেন যে কোন খাবার গরম করে খেতে হবে নতুবা গরম পানি খেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top