সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া ১১টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই জামানত হারাচ্ছেন। সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় নৌকা ব্যতীত বাকি ১০টি দল ও তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদে অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী খোয়াচ্ছেন তাদের জামানত। খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে।
এবারের নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার ৬ প্রার্থী। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনের ননীগোপাল মণ্ডল, খুলনা-২ আসনে সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও খুলনা-৬ আসনে মোঃ রশীদুজ্জামান। তবে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিয়ে জামানাত টিকাতে পেরেছেন তিনটি আসনের ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (কেটলি), খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন (ঈগল) ও খুলনা ৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহাবুবুল আলম (ঈগল)। জামানত হারালেন যারাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের
কাজী হাসানুর রশিদ, তৃণমূল বিএনপির চন্দ্র প্রামানিক প্রতীক সোনালী আঁশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ঈগল প্রতীকের। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে জাতীয় পার্টির মোঃ গাউসুল আজম প্রতীক লাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের দেবদাস সরকার, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) বাবু কুমার রায় প্রতীক ছড়ি, গণতন্ত্রী পার্টির মতিয়ার রহমান প্রতীক কবুতর, বিএনএম প্রার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রতীক নোঙর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সাঈদুর রহমান প্রতীক ঈগল। খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনের জাতীয় পার্টির মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতীক লাঙ্গল, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন প্রতীক গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী প্রতীক ঈগল।
খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির মোঃ ফরহাদ আহমেদ প্রতীক লাঙ্গল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রতীক আম, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান প্রতীক সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা প্রতীক ডাব, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান প্রতীক মিনার, বিএনএম প্রার্থী এস এম আজমল হোসেন প্রতীক নোঙর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জুয়েল রানা প্রতীক ট্রাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি এহসানুল হক প্রতীক সোফা, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম রওশন জামির প্রতীক কাঁইচি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রেজভী আলম প্রার্থী ঈগল। খুলনা-৫(ডুমুরিয়া-ফুলতলা)
আসনে জাতীয় পার্টির মোঃ শাহীদ আলম প্রতীক লাঙল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল প্রতীক ডাব ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার প্রতীক হাতুড়ি। এছাড়া খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জাতীয় পার্টির মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু প্রতীক লাঙ্গল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ আবু সুফিয়ান প্রতীক আম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম প্রতীক ডাব, বিএনএম প্রার্থী এস এম নেওয়াজ মোরশেদ প্রতীক নোঙর, তৃণমূল বিএনপির মোঃ নাদির উদ্দিন খান ‘সোনালী আঁশ’ জামানত হারাচ্ছেন।
