হিলি স্থলবন্দরে কমেছে আমাদানি কমেছে রাজস্ব বিপাকে শ্রমিকরা

IMG_20240106_141713-scaled.jpg

নুরুজ্জামান হোসেন হিলি থেকেঃ বৈশ্বিক মন্দা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কমেছে আমদানিকৃত পন্যের পরিমাণ। এদিকে পন্য আমদানি কমে যাওয়ায় বিপাকে পরতে হচ্ছে কুলি শ্রমিকদের, হিলি বন্দরে আগে দুই থেকে আড়াইশ ট্রাক প্রবেশ করলেও বর্তমানে ৫০থেকে ৭০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। বন্দরে আমদানি কমে যাওয়ায় বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মচারি বেকার হয়ে পড়েছে।

হিলি বন্দরের কর্মরত শ্রমিক বেলাল হোসেন বলেন, আগে এই বন্দরে ভারত থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০০ উপরে ভারতীয় ট্রাক বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করতো, এখন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক প্রবেশ করে, বন্দরে পর্যাপ্ত ট্রাক প্রবেশ না করায় আমাদের মত কর্মরত অনেকেকুলি শ্রমিক বেকার হয়ে পরেছে। বর্তমান যে কয়টা ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে তা খালাস করলে ৫০ থেকে ৭০ টাকা ভাগে পাওয়া যায়। এই কয় টাকা দিয়ে সংসার কি করে চলবে তার মধ্য বাড়ি থেকে বন্দরে কাজ করতে আসলে ভ্যান ভাড়ায় চলে যায় ৫০ টাকা বাঁকি ২০ টাকা এই দিয়ে কি জিবন চলবে।

হিলি স্থলবন্দের আমাদানি রপ্তানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ভারত থেকে আমাদানি নিয়ে খুব চিন্তায় দিন কাটছে, একদিকে যেমন ডলার সমস্যা অন্যদিকে ভারত থেকে পণ্য আমাদানি করতে হচ্ছে একরেটে মাল বিক্রি করার পরে বিল ছাড়তে হয়ে আরেক রেটে। এতে বন্দর ব্যাবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। তারা আরো বলেন আমদানির উপরে নির্ধারিত এলসি রেট করে দেওয়া হলে ভালো হতো বলে মনে করেন তারা। না হলে প্রতি নিহত হিলি বন্দর ব্যাবসায়ীদের গুনতে হয় লোকসান।

হিলি বন্দর গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বৈশ্বিক ও জাতীয় নির্বাচনেন কারনে হিলি বন্দরে আমদানি অনেক কমে আসছে। আগে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ট্রাক গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও। এখন গড়ে প্রতিদি ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক ভারতীয় বিভিন্ন পণ্যনিয়ে বন্দরে প্রবেশ করেন। এদিকে আমাদানি কমে যাওয়ায় একদিগে যেমন সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে অন্যদিগে বন্দরের দৈনিক আয় কমে যাচ্ছে। এদিকে বন্দরের কর্মকর্তা সহ শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন পার করছে।

তিনি আরো বলেন হিলি স্থলবন্দর ভারত থেকে আমদানি যখন স্বাভাবিক ছিলো তখন বন্দরে পর্যাপ্ত ট্রাক আমদানি ছিলো। তখন বন্দরে শ্রমিক সহ বন্দরে কর্মকর্তা কর্মচারি ব্যাস্ত সময় পার করতো এবং বন্দরের শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ শেষে ৫০০ টাকা মজুরি পেতো, তাদের সংসার ভালোই চলতো। বর্তমান আমদানি কমে যাওয়ায় বন্দর শ্রমিকরা বেকার সময় পার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top