সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ভাতাভোগীরা হ্যাকারদের কবলে পড়ে স্বর্বশান্ত হয়েছে। ভুক্তভোগী ও দিঘলিয়া উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নানা ভাতাভোগীরা এমএফএস বা মিডিয়া ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মিডিয়া পার্টনারশীপ নগদ মধ্যমে এ ভাতা সরবরাহ সুবিধাগুলো পেয়ে আসছে। গত ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ও বিকাশের মাধ্যমে সুবিধাগুলো সুচারুরূপে পেয়ে আসছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছর থেকে মিডিয়া পার্টনার নগদের মাধ্যমে এ সকল সরকারি ভাতা সরবরাহ করে আসছে।
সুবিধাভোগীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাভাতা, বিধবা ভাতা, বয়ষ্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা উল্লেখযোগ্য। দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ভাতাভোগীদের ভাতার টাকা বর্তমানে মোবাইলে ঢোকার পর নানা কৌশলে ওটিপি নম্বর ও গ্রাহকের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে মোবাইলের টাকা হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে বা যাচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরে ভুক্তভোগীরা এসে ভীড় করছে এবং তাদের অভিযোগ জানাচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এ উপজেলার ২ শতাধিক গ্রাহক হ্যাকারের কবলে পড়ে তাদের সুবিধা ভাতার টাকা
হারিয়েছে। যারা অভিযোগ নিয়ে আসছে তাদের মোবাইল নম্বর ও ওটিপি পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা গ্রামের মুজিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তার সর্বশেষ প্রাপ্তি কিস্তির ১ হাজার ৮ শত টাকা হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে। একই গ্রামের রিমা বেগম জানান তার মোবাইল থেকে তার ছেলের পাঠানো টাকা হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা এ সকল হ্যাকারদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আানার জন্য আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।