রিপোর্টারঃ মনজুরুল ইসলামঃ গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ এই খেজুর গাছ। শীতকাল আসলে বাড়ে অযত্নে ও অবহেলায় বেড়ে উঠা এই খেজুর গাছের কদর। খেজুরের গাছ অন্য কোন ফসলের ক্ষতি করেনা। এই গাছের জন্য বাড়তি কোন খরচ করতে হয়না।ঝোপ জঙ্গলে কোন প্রকার যত্ন ছাড়াই বড় হয়ে উঠে খেজুর গাছ। শুধু মাত্র শীত মৌসুম আসলে নিয়মিত পরিষ্কার রস সংগ্রহ করতে হয়। আর এই রস থেকে তৈরি হয় গুড়। যার ঘ্রাণে মৌ মৌ হয়ে উঠে পুরো এলাকার বাতাস। গ্রামীণ জীবনের প্রত্যাহিক উৎসব শুরু হয় খেজুরের মিষ্টি রসকে ঘিরে। পুরো শীত মৌসুমে চলে সু-স্বাদে ভরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা
তৈরীর উৎসব। এছাড়া পায়েস আর পুলি সহ নানা রকম খাওয়ার আয়োজন। শীতের মৌসুমে খেজুরের রস ও গুড় সহ পিঠা খেতে শহর থেকে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে অনেকই। শীতের সকালে রৌদ্রে বসে খেজুরের রস ও মুড়ি খাওয়ার আসর জমে উঠতে দেখা যায় পাড়া মহল্লায়। শীত মৌসুমে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে উৎসব মুখর পরিবেশে খেজুরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয় । কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা অঞ্চলে সড়করের ও রেল লাইনের দুই পাশে,জমির আইলে, বাড়ীর আঙ্গিনায় ছড়িয়ে আছে প্রায় ৩লাখ ৭৫ হাজার খেজুরের গাছ। একজন গাছি প্রতি দিন প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে থাকে।
একজন গাছি শীত মৌসুমে ১শ৩০ দিনে একটি খেজুর গাছ থেকে প্রায় ৩০থেকে ৩৫কেজি গুড় পেয়ে থাকেন বলে জানা গেছে। এছাড়া খেজুরের পাতা দিয়ে মাদুর ও খেজুরের গাছ কেটে ঘরের তীর তৈরি করা হয়। খেজুর গাছের রস সংগ্রহর উপর প্রায় ৩ হাজার পরিবার নির্ভরশীল। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষকদের খেজুরের গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। যা কৃষকদের রস ও গুড়ের চাহিদা মিটাবে। এছাড়া খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে সংসারের আর্থিক সচ্ছলতা বয়ে আনবে।