সেলিম মাহবুব, সিলেটঃ ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের করছখালি-আকুপুর গ্রামের এক শিক্ষার্থী পটুয়াখালীতে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকাস্থ সাভার এলাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করতেন ফখরুল ইসলাম মারুফ। ঢাকা থেকেই পটুয়াখালীতে বেড়াতে গিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া শেখ কামাল ব্রিজে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ফখরুল ইসলাম মারুফ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের করছখালী-আকুপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র। তার মাতার নাম ঝর্ণা বেগম। পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালে তার মরদেহ রয়েছে। মরদেহের পকেটে পাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে স্থানীয় পুলিশ তার পরিচয় সনাক্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার ছবি ও মৃত্যুর সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় শনিবার ছেলেটির পরিবারের কাছে সংবাদটি পৌঁছেছে। পরিবারের লোকজন পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া
এলাকায় দুর্ঘটনায় তিনি কি ভাবে মারা গেছেন এ বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করে বলেন নি। অনেকেই বলেছেন, ফেইসবুকে তার মৃত্যুর খবর পেয়েছেন এবং ছবিও দেখেছেন। কালারুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, রাজাপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিন জানান, করছখালি-আকুপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র ফখরুল ইসলাম মারুফ ঢাকায় থেকে একটি কলেজে লেখাপড়া করতেন। পটুয়াখালীতে বেড়াতে যান তিনি ঢাকা থেকেই। সেখানে একটি ব্রিজের উপর দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি শনিবার মারা যান। পরিবারের লোকজন সংবাদটি পেয়ে হাসপাতালের খোজ খবর নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।করছখালি গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট আব্দুল কাহহার জানান, খবর পেয়েছি পটুয়াখালীতে গিয়ে আজির উদ্দিন’র পুত্র ফখরুল ইসলাম মারুফ মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে কিভাবে তিনি মারা গেছেন তা তিনি জানতে পারেন নি।