জয়নাল আবেদীনঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক মুদি দোকানী।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পূনরায় হয়রানির শিকার হলে বউ বাচ্চা নিয়ে আত্বহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে বাদী হয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ,এস আই প্রকাশ, এএসআই কামাল। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর আমি ব্যবসা করে আসছি।আমার মৌরশী সম্পত্তি নিয়ে কিছু প্রভাবশালী লোকের সঙ্গে বিরোধ চলছে।দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানোর পায়তারা করছে।আমি ব্যবসা ছাড়া কোনভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।সীতাকুণ্ড মডেল থানায় আমার বিরুদ্ধে মামলা না
থাকলেও গত ২ নভেম্বর ২০২৩ ইং রাত দশটায় এসআই মাসুদ মুন্সি ও এএসআই কামাল সিভিলে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল এবং আমার বড় ভাইকে হুমকি ধমকি দেয়।এসময় তারা ওসির সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকা দিয়ে সমাধান করতে বলেন।
অভিযোগে আরো বলেন, আমার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামসুল আরেফিন পুলিশকে বলেন, ওসমান ও তার বড় ভাই ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত তারা সরকার বিরোধী কোন কাজে জড়িত নয়।একথা বলার পর পুলিশ চলে যায়। এরপর ১৫/১১/২৩ ইং বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে পুনরায় সিভিল পোশাকে এসআই প্রকাশ ও এএসআই কামাল ভাটিয়ারী স্টেশন রোড আমার খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আল মদিনা স্টোরে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে।এসময় আমার বড় ভাইকে দোকান থেকে বের করে এসআই প্রকাশ বলেন, ওসি স্যারের সাথে মিট করেন এক লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করেন।টাকা না দিলে নাশকতার মামলায় জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। মুদি দোকানী ওসমান
আরো বলেন, আমি ক্ষুদ্র মুদি দোকানী হয়ে পুলিশের ভয়ে আতঙ্কে জীবন যাপন করছি।আমি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কর্মী নয়।কোন দলের মিছিল, মিটিং অথবা নাশকতার কোন প্রমাণ দেখাতে পারে আমি নিজেই ফাঁসির কাস্টে চলে যাবো।আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।আমাকে যদি পুলিশ আরো হয়রানি করে বউ বাচ্চা নিয়ে আত্বহত্যা করা ছাড়া উপায় দেখছিনা।
এ ঘটনায় ওসি তোফায়েল আহমেদ,এসআই প্রকাশ, এএসআই কামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, জামায়াত- বিএনপির লোকেরাই অভিযোগ দিবে।তারা পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অভিযোগ তাদের কাছে সামান্য বিষয়।নাশকতাকারীদের বাড়িতে গেলে অনেক কথাই উঠে আসে।আমাকে তারা পিটিয়ে মারেনি এটা সৌভাগ্যের বিষয়।হয়রানির শিকার ওসমান জামায়াত বিএনপির
দলীয় লোক কিনা জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীকে ভালোভাবে কথা বলার সবক দেন।পরে পুনরায় কল দিয়ে জানান ওসি সরাসরি টাকা চেয়েছে বা নিয়েছে এই ধরনের কিছু দরখাস্তে লিখা ছিল না। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে হয়রানি ও টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এএসআই কামাল বলেন,ওসমান গণির ভাই এক সময় জামায়াতের রাজনীতি করত।তারা দুই ভাই জামায়াতের রাজনীতি করে। জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিটমাটের কোন প্রশ্নই ওঠেনা।যারা নাশকতা করে তাদের আমরা ধরে ধরে চালান দিচ্ছি।জামায়াতের কমিটি বিলুপ্ত পূর্বে জামায়াতের কমিটিতে ছিল।আমরা খুঁজে তথ্য বের করবো।