বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় ছিনতাই চেষ্টা কালে উদ্ধার করা ভ্যান ভুক্তভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর)সকালে থানা চত্বরে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ী ও মোবাইল ফোন ভুক্তভোগীর হাতে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনা সুত্রে ভুক্তভোগীর বিবৃতিতে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চামটা চৌদ্দ মাথা মোড় এলাকার আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে আবুল বাশার বাবু (৪৫) একজন ভ্যান চালক। ভ্যান চালানোর সুত্রধরে ঘটনার ২দিন আগে পরিচয় হয় একই উপজেলার তাতারপুর কারিগর পাড়া এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মামুন (৩৫) এর সাথে। বিনিময় হয় মোবাইল নম্বরের। ঘটনার দিন (৩ নভেম্বর) শুক্রবার বিকালে আবুল বাশারের মুঠোফোনে মামুন জানায় তার ভ্যানে সে কালুহাটি এলাকায় আত্মীয়র বাড়ি যাবে। বালুদিয়াড় আজিজুলের মোড়
থেকে আত্নীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্যানে উঠে মামুন। পরে মামুন কোন আত্মীয়ের বাড়িতে না গিয়ে তাকে নিয়ে আসে কালুহাটি বাজারে। সেখানে এক চায়ের দোকানে তারা চা খায়। এরপর মামুন আবুল বাশার কে বলে রুস্তমপুর যেতে হবে সেখানে আমার লোকজন আছে।তার কথামতো সামনে যেতে থাকে আবুল বাশার। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নাসির উদ্দিনের আম বাগানের সামনে উপস্থিত হলে মামুন তাকে দাঁড়াতে বলে। দাঁড়ানোর সাথে সাথে ধারালো ছুরি বের করে মানুন। জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চায় ভ্যান। বাঁধা দিলে ছুরির আঘাতে আবুল বাশার এর হাত কেটে যায়, গলায় ছুরির পোচ দেয় এবং কানে কামড় দিয়ে একাংশ কেটে নেয় হিংস্র মামুন। এ সময় আবুল বাশারের চিৎকারে ছুটে আসে আনসার ভিডিপি সদস্য আড়ানী পৌরসভার
৯ নং ওয়ার্ড দলনেতা আবু রায়হান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে খবর দেয় রায়হান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন লিটন সহ অনেক লোকজন। এ সময় বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)খায়রুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আবুল বাশার কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় মামুন কে আটক করে এবং ভুক্তভোগী আবুল বাশারের ভ্যান গাড়ি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনার পরেরদিন শনিবার (৪ নভেম্বর)প্যানাল কোডের ৩৯৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। যার নম্বর -৫। রোববার মামুন কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। উদ্ধারকৃত ভ্যানগাড়ী ও মোবাইল ফোন বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) সকালে বাঘা থানার সহকারী পরিদর্শক আবুল কালাম ভুক্তভোগী আবুল বাশারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার ভ্যান এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আনা হয়। আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) সকালে ভ্যান এবং মোবাইল ফোন ভুক্তভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।