দিঘলিয়ায় মিলের ওভারলোড পাটের গাড়িতে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে শর্ট সার্কিটে পাটের ট্রাকে আগুন

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সূতীর কূল বাজারে সড়কের উপর বিদ্যুতের তার ওভারলোড পাটের ট্রাকে পেঁচিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লাগে। সড়কের দু’পাশে বাজার এবং পাশেই ছিলো বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার। ঘটতে পারতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দিঘলিয়ায় বিভিন্ন মিলের ট্রাকে পাট ও পাটজাত পৌণ্য ওভার লোড নিয়ে সর্বদা চলাচল করে আসছে। কর্তৃপক্ষের নাকের ডোগা দিয়ে এ সকল অভার লোড গাড়ি চলাচল করলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা অজ্ঞাত কারণে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে আসছে। এ ব্যাপারে নানা গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও কোনোমহল একটুও নড়ে বসেনি এমনি অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। দিঘলিয়ার দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসী ও পুলিশ

সূত্রে জানা যায়, সকাল আনুমানিক ১০ দিকে খুলনা মেট্রো ট-১১-০৬৮৮ ট্রাকে পাটের কার্টিস ভর্তি একটি ট্রাক দেয়াড়ায় অবস্থিত মন্ডল জুট মিলে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ব্রক্ষগাতী সরদার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সড়কের পাশে গফফার সরদারের দোকানের সার্ভিস তার ঝুটের ট্রাকে জড়িয়ে ছিঁড়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা ট্রাক সুতির কূল বাজারে পৌঁছালে ট্রাকের ড্রাইভার জ্বলন্ত ট্রাক থামিয়ে পালিয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে বাজারের লোকজন আধা ঘন্টা ধরে পাটের ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফরমাইশখানা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, এভাবে ট্রাকে ওভার লোড নিয়ে দেয়াড়া জুট টেক্সটাইল মিল কর্তৃপক্ষ পাট ও পাট জাত পণ্য ভর্তি করে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এ ব্যাপারে অনেকবার রাস্তা ও কালভার্ট ভেঙ্গে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া সেনহাটি বাজারসহ জনপদের অনেকের সার্ভিস তার ছিড়ে ফেলে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে। তাদের অভিযোগ অরণ্যে রোদনের মত কর্তৃপক্ষ উড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। সূতিরকূল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, সড়কটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পাট বোঝাই করে দিবারাত্রি চলাচল করে। ইতিপূর্বে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নেওয়া আমার দোকানের সার্ভিস তার ২ বার ছিঁড়েছে।

এছাড়া গত এক বছরে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নেওয়া বাজারের অন্যান্য দোকানদারদের সার্ভিস তারও ১৫ থেকে ২০ বার ছিঁড়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সেনহাটি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খান হাফিজুর রহমান ও ব্যবসায়ী শেখ আঃ কাদের জনিও এ প্রতিবেদককে অনুরূপ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, সূতীরকূল বাজারে যে স্থানটিতে আগুন লাগা ট্রাকটি থামানো হয় তার পাশেই বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ছিলো এবং সড়কের দু’পাশে অসংখ্য দোকানপাট। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে জানান, ঝুট ভর্তি ট্রাক ত্রিপল দিয়ে না ঢাকার কারণে সার্ভিসের বিদ্যুতের তার ছিড়ে আগুন ঝুট ভর্তি ট্রাকে আগুন ধরে যায়। আমরা ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলেছি। দেয়াড়া জুট টেক্সটাইল মিলসহ দিঘলিয়ার সকল মিল কর্তৃপক্ষের সাথে ওভার লোডের ব্যাপারে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে পরিবর্তন না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তানভীর আহমেদ এবং দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top