একজন সফল ফজলুর রহমান

মুহাম্মদ কাইসার হামিদ,কুলিয়ারচর(কিশোরগঞ্জঃ
দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গরুর খামার। লাভজনক হওয়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে খামার ব্যবসায়। সফলতা পাচ্ছেন অনেকেই। এমনই এক সফল খামারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ পেলো কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. ফজলুর রহমান। তেমন লেখাপড়া না করতে পারলেও তিনি বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খামার ব্যবসায়। বিভিন্ন ব্যবসা করে ইতোমধ্যে সারা দেশে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। ভৈরব থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ও আরাফাত কেমিক্যাল ওয়ার্কস (বস্ মশার কয়েল) প্রাইভেট লিমিটেড, ভৈরব এর চেয়ারম্যান কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মরহুম মো. শহিদ মিয়ার

ছেলে এলাকার গরীব দুঃখীদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব দানবীর ফজলুর রহমান। তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন জীবনের শুরু থেকেই। স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় বিভিন্ন ব্যবসা করার প্রচেষ্টায় কোনো অবহেলা নেই তার। খামার শুরু করার আগে তিনি বন্দরনগরী ভৈরবে গড়ে তুলেন আরাফাত কেমিক্যাল ওয়ার্কস (বস্ মশার কয়েল) প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাটি হাটি পা পা করে ইতোমধ্যে কেমিক্যাল ও কয়েল ব্যবসা সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন ফুড প্রডাক্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় তার জন্মভূমি ফরিদপুর গ্রামে নিজস্ব ৩ একর (৩০০ শতাংশ) ভূমির ওপর গড়ে তুলেন একটি গরুর খামার। প্রাথমিকভাবে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের ৭০টি গরু নিয়ে শুরু করেন খামারে কার্যক্রম। এর আগে তিনি নিজ বাড়িতে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ টি গরু লালন পালন করে কোরবানি দিতেন এবং জবাই করে এলাকার গরীব দুঃখীদের খাওয়াতেন।

বর্তমানে চারটি সেটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০ টি গরু আছে তার খামারে। এসব গরুর বিষ্ঠা (গোবর) দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদনসহ জৈব সার তৈয়ারি করে তার নিজস্ব প্রায় ৯ একর ধান ও ঘাসের জমিতে ব্যবহার করছেন তিনি। শুধু তাই নয় মো. ফজলুর রহমান তার নির্মাণাধীন খামার বাড়িতে তৈরি করছেন দুইটি পুকুর। দুটি পুকুরের চাষ করবেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। খামার বাড়িতে রোপন করছেন বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ। খামারটিতে বর্তমানে ৬০-৭০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। খামারটিকে ঘিরে তৈরি করছেন একটি আলিশান প্রাসাদ ও একটি দৃষ্টি নন্দন পুকুর ঘাট।

খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গরুকে মা-বাবার ভালোবাসার আদরে আগলে রেখেছেন ফজলুর রহমান। গরুগুলোর মায়ায় তিনি প্রতিদিনই খামারে চলে আসেন গরুগুলোকে দেখে আদর করতে।

মো. ফজলুর রহমানের এ উদ্যোগ ও সফলতা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসবে এবং নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন এলাকার বয়োজোষ্ঠরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top