বাঁচতে চান কিডনি রোগি ‘খোকন চন্দ্র’

লিমন খান কাজিপুর সিরাজগঞ্জঃ ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত শ্রী খোকন চন্দ্র। তার দুটি কিডনিই পুরোপুরি বিকলের দ্বারপ্রান্তে। খোকন চন্দ্রের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া গ্রামে। শ্রী মনোরঞ্জন সরকারের একমাত্র সন্তান তিনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা স্থানীয় ঢেকুরিয়া বাজারের একটি দোকানে নরসুন্দরের কাজ করেন। খোকন চন্দ্র সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) মেধাবী শিক্ষার্থী। স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা অর্জন শেষে একটা ভালো চাকরি করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। তবে সেই স্বপ্নে বাঁধ সেধেছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। এখন তার নিজের জীবনই সংকটে। চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে খোকন চন্দ্র। তখন চিকিৎসার জন্য বগুড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিকে নিলে সেখানকার ডাক্তাররা বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দেন।

পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যায় কিডনিতে সমস্যা। তার দুটো কিডনিই ৭৫ শতাংশ বিকল হয়ে পড়েছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শেই রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জুনের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয় সপ্তাহে দুদিন কিডনি ডায়ালাইসিস। এভাবেই অদ্যাবধি ডায়ালাইসিস চলছে। খোকন চন্দ্রের পিতা মনোরঞ্জন সরকার বলেন, ‘পরিবার ও স্বজনদের সহযোগিতায় চিকিৎসা করালাম এতো দিন। এখন আমার নিজের আড়াই শতাংশ বসত-ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। ডাক্তার বলেছেন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে খুব দ্রুত। তাছাড়া আমার ছেলেকে বাঁচানো যাবে না।’তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররা আমার কিডনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেছে আমারটা ম্যাচিং হয়েছে। আমি কিডনি দেব কিন্তু অপারেশন ও চিকিৎসার টাকা পাবো কোথায়? ডাক্তার বলেছে দশ-বারো লাখ টাকা লাগবে।’

উপায় না পেয়ে মনোরঞ্জন সরকার ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তশালী, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন, সরকারি/বেসরকারি চাকুরে, প্রবাসী ভাই-বোনদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনুদানের সহায়তায় সেরে উঠতে পারে একটি প্রাণ, একটি পরিবার ফিরে পাবে বেঁচে থাকার অবলম্বন।

অনুদানের জন্য- বিকাশ: ০১৭৭৮৯২৩৮৪১, রকেট:০১৭৭৮৯২৩৮৪১৬, নগদ: ০১৭৯৮৩০৪০৪৪ অথবা ব্যাংক হিসাব নম্বর: ৪২১৬৮০১০০৮২৮১ (মনোরঞ্জন সরকার), সোনালী ব্যাংক, সোনামুখী, কাজীপুর, শাখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top