সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনাঃ খুলনার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা অপসংবাদিক ও হলুদ সাংবাদিকতার বেড়াজালে বন্দি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বার বার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গিয়ে নানা কারণে নিরব হয়ে পড়ছেন। ফলে তথ্য ও যোগাযোগ আইনের অনুপস্থিতিই খুলনার মিডিয়া জগতের এই পরিণতি। যার যেমন খুশি তেমন সাংবাদিকতার আদলে সাংবাদিকতা করছে। তথ্য ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা খুলনা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে যা বলেছিলেন তার কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি।
খুলনার বিভিন্ন সাংবাদিক ও সংবাদ পত্র সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় এক শ্রেণির ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোবাইলের মাধ্যমে শহর ও গ্রাম বাংলার স্বচিত্র সংবাদ পত্রিকা বা ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ন্যায় প্রকাশ ও প্রচার করছে। ফলে দেশের সকল বৈধ প্রচার মাধ্যম গুলোর একটু হলেও কদর কমছে। পাশাপাশি ভুয়া, অপ-সাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতার দিন দিন দৌরাত্ব বেড়ে যাচ্ছে। এ গুলো যেন দেখার বা নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। অপরদিকে এই অপ-সাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতার জন্ম দিচ্ছে খুলনার কিছু অতি সুযোগবাদী সাংবাদিক। কারণ হিসেবে জানা গেছে কিছু খুলনার সাংবাদিক তাদের পত্রিকার প্রচার বাড়ানো ও মফঃস্বল সংবাদে সম্পৃক্ততা আনায়নে সার্বিক যোগ্যতা যাচাই না করে পত্রিকায় সাংবাদিকতার কার্ড তৈরি করে সাংবাদিকতার বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।
যারা সংবাদ লিকতে ও পড়তে পারেনা তারা আজ সাংবাদিক। এ ব্যাপারে খুলনার কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, খুলনার কিছু সংবাদ পত্রের কর্মকর্তা ও সিনিয়র সাংবাদিক শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা যাচাই না করে টাকার বিনিময়ে পত্রিকার পরিচয় পত্র সরবরাহ করে থাকে। তারা কে কি করছে এ খবর কেউ রাখেনা। এদিকে খুলনার সাংবাদিকদের সাথে মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন সভা সমাবেশে সংশ্লিষ্টদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। জানানো হয়েছে অপ-সাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার উন্নয়নের পথে বাধা। বার বার আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে বা বন্ধ করতে পারেনি এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টমহল।