গোপালগঞ্জে আবারো সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি রাতের আধারে দরজা ভেঙ্গে চুরী ও লুট

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চর গোবরা এলাকায় রাতের আধাঁরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নুরুল ইসলামের বাড়িতে চুরি ও লুট করেছে কতিপয় দূবিৃত্তরা । এর আগেও এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকা থেকে উৎখাত করার লক্ষে বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে এলাকার কতিপয় যুদ্ধ বিরোধী লোকজনদের দ্বারা। এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করা আছে। বার বার কেন এই বীর মুক্তি যোদ্ধার উপর হামলা হচ্ছে, এ ব্যপারে এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও এলাকাবাসী। গোপালগঞ্জের পুলিশের উপর এলাকাবাসীরা ভরসা হারাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নুরুল ইসলামের বাড়ীর লোহার দরজা কপাট ভাঙ্গা, ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যায় অড্রপের ড্রয়ার ভাঙ্গা, ঘরের ভিতরে থাকা লোহার

সাববাক্সের লক ভাঙ্গা, এলোমেলো আবস্থায় ঘরের জিনিসপাতী পড়ে আছে। এ ব্যপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর ছেলে মুন্সী মঈন উদ্দীন বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকা হতে ২ নভেম্বর দুপুর বারোটা মধ্যে তোদের বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুবাধে কতিপয় দুবিৃত্তরা তাদের বাড়ির লোহার দরজার ভেঙ্গে বাড়ির ভিতরে থাকা একটি টিভি, একটি কম্পউটার, একটি ওয়াশিং মেশিন, দুইটি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ, একটি পানির মটর, একটি রুম হিটার, দুই ভরি ওজনের দুইটা স্বর্নের চেইন, দুই জোড়া স্বর্নের কানের দুল, দুইটি স্বর্নের আংটি, বার আনা ওজনের একটি স্বর্নের ব্যাচলেট সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি ও নগত এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা জাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থল তদন্তকারী অফিসার এস,আই ওহিদুল বেপারীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিরক্ত বোধ করে বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না। আমাকে পাঠাইছে ওসি স্যার স্যারকে ফোন দিয়ে জানেন। সাংবাদিক দের কিছু বলার এখতিয়ার আমাদের নাই। এ ব্যপারে তার একটু উদাসীনতা লক্ষ করা যায়।

গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা ইউনিয়নের চর-গোবরা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নুরুল ইসলাম বার বার যুদ্ধ বিরোধীদের হাতে লাঙ্চিত ও আঘাতপ্রপ্ত হয়ে দূবিৃত্তদের আত্যাচারে পরিবার সহ এখনও বাড়ি ছাড়া। বিগত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে হেরে যাওয়া চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ক্ষোভের শিকার সে ।এখনো যদি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর বার বার হামলা ও অত্যাচার রোধ না করা যায় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধ বিরোধী শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে । এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top