মহেশ্বর পাশা উত্তর বনিকপাড়ার রোহান নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা, মোবাইল, জুতা এবং পরনের জামার সন্ধান মেলেনি

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ দৌলতপুর থানাধিন
মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়ার(ঢালীপাড়া) গফফারের পুকুর(মাছের ঘের) থেকে নিহত রোহানোর রহমান রোহানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার মা রুনা আক্তার দৌলতপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে(মামলা নং-১২ তাং- ৩১/১০/২৩)। ঘ্টনার দুইদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ রোহানের মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি রোহানের মোবাইল ফোনটি। সন্ধান মেলেনি গায়ের কালো রংয়ের জামা এবং পায়ের স্যান্ডেলের। প্রতিবেশীরা বলছে মোবাইলের সুত্র ধরে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হতে পারে। তারা বলছে মরদেহের পাশের নারিকেল গাছের পাতা ভেঙ্গে এবং গাছের ডাব ফেলে রেখে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে। তাছাড়াও ভোরে পুকুরে জাল টেনে মাছ ধরা হলেও মরদেহটি কারো চোখে পড়েনি বিষয় গুলো রহস্যজনক!
স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, নিহত রোহান ২৮ অক্টোবর শনিবার রাত ১০টায় বাসা থেকে বাহির হয়। বাসায় ফিরে না আসায়

রাত পৌনে ১২টায় রোহানের মা রুনা আক্তার তার সাথে মোবাইলে কথা বলে বাসায় আসতে বলে। এরপরও সে বাসায় না আসায় রাত ১২ টা থেকে পরের দিন ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত তার ফোনে কল করে রিং বাজলেও সে ফোনটি রিসভি করেনি। ৭টার পর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খোজাখুজি করে তার সন্ধান না পেয়ে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় ৩০ অক্টোবর সোমবার রাতে দৌলতপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করে রোহানের মা রুনা আক্তার। নিখোঁজের ৩ দিন পর ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে বাড়ীর পাশের গফফারের পুকুর(মাছের ঘের) থেকে তার অর্ধগলিত মরদেগ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীরা বলছে রোহানের মরদেহ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার পাশের একটি নারিকেল গাছের পাতা ভেঙ্গে রাখা এবং মরদেহের পাশে ৬টি ডাব ফেলে রাখা ছিল। যে ডাব গুলো রাখা ছিল সে গুলো ঐ গাছে ডাব ছিল না। তারা বলছে ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে রুপদিতে এটি করা হতে পারে। তাছাড়া রোহানের

মরদেহ যে দিন পাওয়া গেলো সেই দিন ৩১ অক্টোবর ভোরে ঐ পুকুরে জেলেরা মাছ ধরে সেই সময়ও তাদের চোখে পড়েনি। সকল বিষয় গুলো প্রতিবেশীরা রহস্যজনক বলে সন্দেহ প্রকাশ করছে। এ দিকে গত দুইদিন অতিবাহিত হলেও নিহত রোহানের মোবাইল ফোনটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারিনি। সন্ধান মেলেনি রোহানের গায়ের জামা এবং পায়ের স্যান্ডেলের। স্বজন এবং এলাকাবাসী মনে করছে রোহানের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হলে মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এস আই মোঃ বদিউর রহমান জানান, নিহত রোহানের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা রুনা আক্তার দৌলতপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। তিনি জানায়, রোহানের মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং মৃত্যুর সঠিক কারন এখন জানাযায়নি। নিহতের

ময়নাতদন্ত রির্পোট পেলে মৃত্যুর কারন জানাযাবে। তবে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ডিবি পুলিশ মাদারীপুর থেকে একজনকে আটক করেছে এমন গুঞ্জন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারিনি। উল্লেখ্য নিহত রোহান গত ২৮ অক্টোবর শনিবার রাতে বাসা থেকে বের হয়। তিন দিন পর ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে বাড়ীর পার্শে গফফার মাস্টারের মাছ চাষের পুকুর থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top